দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্লাইটটিতে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন। দুর্ঘটনায় দুজন ক্রু সদস্য ছাড়া সবাই নিহত হয়েছেন।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসা ফ্লাইট ৭সি২২১৬ অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে যায় এবং বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে আগুন ধরে যায়।
দুর্ঘটনার কারণ
বিবিসি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ এখনও নিশ্চিত নয়। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবতরণের সময় পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দেয়, যা এই দুর্ঘটনার মূল কারণ হতে পারে।
যাত্রীদের পরিচয়
উড়োজাহাজে থাকা ১৭৩ জন যাত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক ছিলেন এবং বাকি দুজন ছিলেন থাইল্যান্ডের। দুর্ঘটনার পরপরই মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনার চিত্র
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি চাকা ছাড়াই রানওয়ে দিয়ে অনেক দূর ছেঁচড়ে যায় এবং পরে দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে অগ্নিগোলকে পরিণত হয়। ধ্বংসাবশেষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
জেজু এয়ারের প্রতিক্রিয়া
জেজু এয়ারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এটি তাদের প্রথম প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা, যা প্রতিষ্ঠানটির ২০০৫ সালের প্রতিষ্ঠার পর ঘটল।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশ
দক্ষিণ কোরিয়া এমন এক সময় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলো, যখন দেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সুং-মক দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র দুই দিনের মাথায় এ সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
আ. দৈ./ সাধ