জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি হামলাকারী তালেব আল-আবদুল মোহসেন সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এত তথ্য থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ও গোয়েন্দাদের উদাসীনতার সমালোচনা করছে জার্মান গণমাধ্যম।
গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাক্সেন-আনহাল্ট রাজ্যের রাজধানী ম্যাগডেবার্গ শহরের ক্রিসমাস মার্কেটে হামলা চালান তালেব। তিনি দ্রুতগতির একটি গাড়ি চালিয়ে মার্কেটের ভেতরে ঢুকে দর্শনার্থীদের ওপর উঠে যান। এতে ৯ বছরের একটি শিশু ও ৪ নারী নিহত হন। আহত হন ২০৫ জন, যাঁদের মধ্যে ৪১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলেই তালেবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জার্মান পত্রিকা ডের স্পিগেল-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তালেব সৌদি আরবের নাগরিক এবং বয়স ৫০ বছর। তিনি ২০০৬ সালে জার্মানিতে আসেন এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন। মনোচিকিৎসা প্রশিক্ষণ নিতে এসে তিনি শরণার্থীর মর্যাদা লাভ করেন। তিনি ম্যাগডেবার্গের কাছে বার্নবার্গ শহরে বসবাস করতেন এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি ক্লিনিকে মনোচিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন।
তবে তাঁর অতীত আচরণ নিয়ে জার্মান কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার সতর্ক করেছিল সৌদি আরব। ২০১৩ সালে তিনি জার্মানির মেকলেনবার্গ-ফরপোমেন রাজ্যের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনকে হুমকি দেন। প্রশিক্ষণ পরীক্ষার ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে তিনি বলেছিলেন, এমন কিছু করবেন যা আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করবে। তিনি তখন বোস্টন ম্যারাথন হামলার উদাহরণও দেন।
২০১৩ সালে তাঁকে আদালত জরিমানা করলেও তিনি চ্যান্সেলর অফিসে ফোন করে আত্মহত্যার হুমকি দেন। ২০১৪ সালে বিচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এবং তাঁদের বর্ণবাদী আখ্যা দিয়ে অস্ত্র হাতে নেওয়ার হুমকি দেন।
তাঁর এসব কর্মকাণ্ড সত্ত্বেও তালেবকে ‘প্রধান হুমকি’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। এ নিয়ে জার্মান গণমাধ্যমে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাদের গাফিলতির জন্যই এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে বলে সমালোচনা চলছে।
আ. দৈ./ সাধ