শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে কৃষক কামরুল গাজীর ফসলি জমি থেকে জোরপূর্বক ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।এরআগে এই ফসলি জমিতে প্রতিপক্ষ নুরুল হক গাজি ও তার দলবল নিয়ে নিয়ে কামরুল কাজির জমি দখলের চেষ্টা করলে কামরুল গাজি আদালতে মামলা দায়ের করেন। তবে আদালতে সে মামলা চলামান থাকার পরেও ক্ষমতাবলে ফসলের মাঠ থেকে ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে নুরুল হক গাজি ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদের বিরুদ্ধে।এতে পারিবারিক ও অর্থনৈতিক ভাবে নিঃস্ব কৃষক কামরুল গাজীর পরিবারটি।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এসপি) গোসাইরহাট সার্কেল ও গোসাইরহাট থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষক কামরুল গাজী।
শুক্রবার(১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের পাঁচকাঠি মৌজায় ধান কেটে নিয়ে যাওয়া সেই জমির চিত্র। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত কামরুল গাজী জমির পাশে দাঁড়িয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কুচাইপট্টি ইউনিয়নের পাঁচকাঠী গ্রামের পাঁচকাঠী মৌজায় বি আর এস ৫৭৩ ও ৫৭৬ নং খতিয়ানের ৩৬৫ নং দাগের ১.৪১ একর জমি নিয়ে বিবাদীদের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর শরীয়তপুর জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন কামরুল গাজী। এরপর আদালত ওই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মামলা চলমান থাকা অবস্থাতেই নুরুল হক প্রভাব খাটিয়ে জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়। এসময় কামরুল গাজী তার পরিবার বাঁধা দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ বাজে ভাষায় গালমন্দ করে নুরুল হক সহ তার লোকজন। এমন আক্রমণের শিকার হওয়ায় জীবনের ভয়ে জমি থেকে সরে যান তিনি। এ সুযোগে সমস্ত ধান কেটে নিয়ে যায় নুরুল হক, শিপলু মুতাইত, নন্দাসহ তাদের সহযোগীরা।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী কামরুল গাজী জানান, পাঁচকাঠি মৌজার জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছি। এ মৌজার ৩৭৩ ও ৩৭৬ দাগে ফসল উৎপাদন করে আসার এক পর্যায়ে অন্য প্রতিপক্ষরা অহেতুকভাবে জমি দাবি করে। এ নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন। তিনি আরও বলেন, নুরুল হক তার দলবল নিয়ে আমাদের জমি দখলে করে ধান রোপন করে তা আবার কেটে সাবাড় করে নিয়েছে। ওরা আদালতের রায় উপেক্ষা করে ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় গোসাইরহাট থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি ন্যায় বিচার আশা করছি।
এদিকে অভিযুক্ত নরুল হক গাজী বলেন, ওখানে ধানের চারা আমি রোপণ করি। আর ওই পাকা ধান আমরাই কাটি। ওরা যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজ আমি পাইনি।
এ বিষয়ে গোসাইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাকসুদ আলম বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আ.দৈ./ কাশেম/ রাজিব