নীলফামারীতে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় বাধা দিলে একই পরিবারের তিন জনসহ আশপাশের প্রায় বার জন গুরুতর রক্তাক্ত জখম হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা সকলে নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তাই হামলার সাথে জরিতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানিয়েছে ভূক্তোভোগী পরিবারটি।
ঘটনাটি গত শনিবার সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোবাডাঙ্গায় এলাকায় ঘটেছে। এনিয়ে আজ সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী গোড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জন নামীয় ও অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামী করে সদর থানায় মামলা করেন। তিনি একই এলাকার মৃত মনছুর আলীর পূত্র। মামলা নং- জি,আর ৩৫৬। হামলাটি এলাকার রমজান আলীর ছেলে শেরেকুলের নেতৃতে ঘটে মর্মে অভিযোগে বলা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন, এলাকার রমজান আলীর ছেলে শেরেকুল ইসলাম (৩৫), - মৃত আমীর উদ্দিন ওরফে কাউয়ার ছেলে মোঃ আমিনুর রহমান (৫৫)। তাদের বর্তমান ঠিকানা পার্বতীপুর এলএসডি গুডাউনের পশ্চিম পার্শে। ধাবাডাঙ্গা এলাকার মোঃ রমজান আলীর স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০), মকলেছ আলীর স্ত্রী রনজিনা, মৃত মালুয়ার ছেলে ভুট্টুসহ প্রায় ১১ জন নামীয় ও অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তারা সন্ত্রাসী, দাঙ্গাবাজ ও ডাকাত শ্রেণীর সদস্য হওয়ায় বিভিন্ন অন্যায় কর্মকান্ডে সাথে জড়িত থাকেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, অভিযুক্ত শেরেকুলের সাথে চলাচলের রাস্তা নিয়ে দির্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে ভুক্তভোগীর। উক্ত বিরোধের জেরে গত ৩০ নভেম্বর সকালে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে লাঠি, ছোড়া, দা, বল্লম, কাস্তে, কোদাল নিয়ে ভুক্তভোগী রফিকুলের বাড়ীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে অভিযুক্তরাসহ আরো অজ্ঞানামা ১০-১৫ জন গন্ডা বাহিনী। সেইসাথে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে ভুক্তভোগীর স্ত্রী হোসনে আরা, মেয়ে তাছলিমা আক্তার ও মেয়ের স্বামী সজীব ইসলাম গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে শেরেকুলের হুকুমে তাদের এলোপাথারী কিলঘুসি মারে গুন্ডা বাহিনীরা।
শেরেকুল অসৎ উদ্দেশ্যে কন্যা তাছলিমার পরনের কাপড় টেনে ছিড়ে বিবস্ত্র করে শ্রীলতাহানী ঘটায়। তাছলিমা মাটিতে পড়ে গেলে গর্ভপাত করার উদ্দেশে তলপেটে লাথি মারেন। অপর অভিযুক্ত রনজিনা তার হাতে থাকা ধারালো ছোড়া দিয়ে হোসনে আরার মাথার মধ্যভাগে কোপ দিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করেন। ঘটনার শোরগোলে এগিয়ে আসলে রফিকুলসহ এলাকাবাসী গোলাম মোস্তফার স্ত্রী গুলজান, শাহাজাহান আলী, তাবাসসুম আক্তার, মোঃ মারিফুল ইসলামসহ ১২ জনকে গুরুতর আহত করে। এরপর রফিকুলের বসতবাড়িতে বেআইনী ভাবে প্রবেশ করে আসবাপপত্র, চাটি বেড়া ভাংচুর করে। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা।
পরে স্থানীয়দের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেলে অভিযুক্তরা ধারালো ছোড়া দেখিয়ে হুমকী প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।পরে ভুক্তভোগীদের অবস্থা বেগতিক দেখে এলাকাবাসী সকলকে অপরিচিত অটোভ্যানযোগে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।জানতে চাইলে সদর থানার অফিসার ইনচাজ এম.আর সাঈদ বলেন, মামলাটি রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
আ. দৈ./ কাশেম /হারুন