ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজধানীসহ সারাদেশে খনু ও গুমের অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক ১০ সেনা কর্মকর্তাকে ভার্চ্যুয়াল হাজিরা করার আবেদন খারিজ করেছে বিচারিক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ফলে ঢাকা সেনানিবাসে বিশেষ করাগারে আটক উক্ত ১০ সেনা কর্মকর্তাকে সরাসরি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে হবে।
আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
অভিযুক্ত ১০ সেনা কর্মকর্তার পক্ষে ভার্চ্যুয়াল হাজিরার আবেদন করা হয়েছিল, তারা হচ্ছেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম, কে. এম. আজাদ; কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও আনোয়ার লতিফ খান (ওএসডি); লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম সুমন এবং মো. সারওয়ার বিন কাশেম। গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা এসব আসামিকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেল (টিএফআই সেল)–এ গুম করে রাখার অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ মোট ৭ জন আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
আ. দৈ./কাশেম