ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ রেহানার নামে ১০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার সুনিদষ্ট অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলা বিচারিক বিশেষ জজ আদালত শেখ হাসনাকে ৫ বছর, শেখ রেহানাকে ৭ বছর এবং শেখ রেহেনার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ২ বছরের কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন।
আজ সোমবার (০১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত উক্ত মামলায় আরো ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
এরআগে গত ১৭ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। এরপর দুদকের করা প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ৩ মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের দন্ড দেওয়া হয়। এরপর আজ ০১ ডিসেম্বর দুদকের করা দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালত শেখ হাসিনাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় তার বোন শেখ রেহানার ৭ বছর কারাদণ্ড, মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের ২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপর আসামিদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলায় শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ আরও দুই আসামি যুক্ত হয়ে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ এবং পরবর্তীতে যুক্ত হওয়া দুই আসামি-সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এই মামলায় ৩২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার পরে মামলাটির সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মঈনুল হাসান তাৎক্ষণিকভাবে গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সব সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।
আ. দৈ./কাশেম