ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বিশেষায়িত ক্যানাইন দলের তিন প্রশিক্ষিত কুকুর উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে আনা ল্যাব্রাডর জাতের ‘কোরি’ নামে একটি কুকুরটি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর–১৪–তে পুলিশ ক্যানাইন দলের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ নিলামে অংশ নিতে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে আগাম ১ হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছিল।
ক্যানাইন স্কোয়াডের পরিদর্শক ফখরুল আলম জানান, নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া কোরিকে একজন সাধারণ নাগরিক ক্রয় করেছেন। অন্য দুই কুকুর স্যাম ও ফিন—যথাক্রমে ৪০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকায় কিনেছেন পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয়।
তিনি আরও জানান, কুকুর তিনটি আগামী ২৭ নভেম্বর নতুন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যবর্তী সময় তারা ক্যানাইন দলের অন্যান্য কুকুরের সঙ্গেই থাকবে।
ডিএমপির সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল হাসান বলেন, নিলামে বেশ কয়েকজন অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত দুই ক্রেতা তিন কুকুরই কিনেছেন। এর মধ্যে একজনের কাছেই এ ধরনের আরও সাতটি কুকুর রয়েছে। অন্য কুকুরটি নিয়েছেন এক পশুপ্রেমী।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, সন্ত্রাস দমন ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক সামগ্রী শনাক্তকরণে কুকুরগুলো দীর্ঘদিন কাজ করেছে। আট বছর বয়স হওয়ায় তারা আর কঠিন অনুসন্ধান, টহল বা বিস্ফোরক শনাক্তকরণের দায়িত্ব পালনে সক্ষম নয়। তবে শারীরিকভাবে তারা সুস্থ থাকায় সহজেই পোষা প্রাণী হিসেবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে।
কুকুর তিনটির মধ্যে ফিন পুরুষ ল্যাব্রাডর, কোরি স্ত্রী ল্যাব্রাডর এবং স্যাম পুরুষ জার্মান শেফার্ড। যুক্তরাজ্য থেকে আনা এই কুকুরগুলো তাদের কর্মজীবনে মাদক ও বিস্ফোরক শনাক্তকরণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে।