বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নতুন ইতিহাস রচিত হবে। বিগত দিনের মতো যদি কেউ ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং বা কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে, তবে তার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘সব জুলুম, ফ্যাসিবাদ ও জাতিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত থাকবে। কারো রক্তচক্ষু তোয়াক্কা না করেই ইসলামের পক্ষে সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।’
আজ শনিবার দুপুরে ঝালকাঠির নেছারাবাদ মাদরাসা ময়দানে নেছারাবাদী হুজুর মাওলানা খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি উপস্থিতিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির এসব কথা বলেন।
ডা: শফিকুর রহমান বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে স্বচ্ছ ও অংশ গ্রহণমূলক। এখানে জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। কোনো রকমের পেশী শক্তি ব্যবহার হলে, কোনো গোষ্ঠী যদি নির্বাচনে ভোট কাটার চেষ্টা করে- জনগণ তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’ তিনি আরো বলেন, সকল জুলুম, ফ্যাসিবাদ ও জাতিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে। কারো রক্তচক্ষু তোয়াক্কা না করেই ইসলামের পক্ষে সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইসলামি দলগুলো এক থাকতে পারলে আগামী নির্বাচনে নতুন ইতিহাস রচিত হবে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিগত দিনের মতো যদি কেউ ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং বা কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে, তবে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। শফিকুর রহমান বলেন, জুলুম, ফ্যাসিবাদ ও জাতিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জামায়াতের লড়াই অব্যাহত থাকবে। কারও রক্তচক্ষু তোয়াক্কা না করেই ইসলামের পক্ষে সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সম্মেলনে অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)। তিনি বলেন, ইসলামী দলগুলো এক হতে পারলে এবং আগামী নির্বাচনে সম্মিলিতভাবে ভোটের বাক্স পাততে পারলে দেশে নতুন ইতিহাস রচিত হবে।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিদ আজাদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এবং বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামালসহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করা সম্ভব। একইসাথে তারা দাবি করেন, দেশ কোন পথে এগোবে তা নির্ধারণ করবে জনগণ এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শক্তিগুলো। নেছারাবাদ দরবার শরীফের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিনিধি সম্মেলন।
আ. দৈ./কাশেম