ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পলাতক মন্ত্রী, এমপি, নেতা এবং দোসর ভারত অবস্থান করে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে আগুন সন্ত্রাস করছেন বলে অভিযোগ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের। তিনি বলেছেন, এ জাতি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিল, তেমনিভাবে আজকেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ, আজ যারা পালিয়ে গেছেন তারা ভারতে বসেই পুরোনো স্টাইলে আগুন সন্ত্রাস করছেন।
আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ৭ নভেম্বর যে ঐক্য হয়েছিল, সেই ঐক্য আজ আবারও প্রয়োজন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্য সময়ে (প্রথমার্ধে) জাতীয় নির্বাচন হবে। স্বৈরাচার ও কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশের অর্থনীতিকে খালি করে দিয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্বকে অলমোস্ট অন্য একটি দেশের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন, আজ যারা পালিয়ে গেছেন তারা ওইখানে (ভারত) বসে বসে সেই পুরোনো স্টাইলে আগুন সন্ত্রাস করছেন। শেখ হাসিনার বিচারের রায়ের সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা করে সেই পুরোনো কায়দায় আগুন সন্ত্রাস করতে তারা আবারও মাঠে নেমেছেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আজ যদি আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন হয়, তাহলে লাভ হবে পতিত স্বৈরাচারের। আর এর ফসল ভোগ করার জন্য তারা উঠেপড়ে লেগে আছে। আমাদের ঐক্যকে যদি তারা বিনষ্ট করতে পারে, তাহলে তারা ঐক্যের ফাটল দিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করবে। এ জাতি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিল, তেমনিভাবে আজকেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্বৈরাচার তো পালিয়েছে, কিন্তু স্বৈরাচারের দোসর এখনো এই দেশে আছে। কাজেই আমাদের আশপাশের মানুষের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজ যদি আমরা রাজনৈতিক ঐক্যকে ধরে রাখতে পারি, দেশ যেমন ৭ নভেম্বর ও ২৪ সালের ৫ আগস্টে লাভবান হয়েছিল, আগামী নির্বাচনেও দেশ লাভবান হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন মৎস্যজীবী দল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমির, সদস্যসচিব মো. বাকিবিল্লাহ, মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব কে এম সোহেল রানা প্রমুখ।
আ. দৈ./কাশেম