শুক্রবারের মধ্যেই জাতির দীর্ঘ প্রত্যাশা পুরণে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোটের আদেশ জারির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কারণ ইতোমধ্যে গণভোটের বিষয়ে সুপারিশসহ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারকে আদেশ জারির সুপারিশ করেছে।
বৃহস্পতিবার(৩০ অক্টোবর) রাতে অথবা আজ শুক্রবারের মধ্যেই গণভোটের বিষয়ে সুপারিশসহ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পরামর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে মগবাজারের আলফালাহ মিলনায়তনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা.সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এস দাবি জানান।
সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্ন ছিল, যেমন ‘এখনো জাতীয় নির্বাচনে চলমান পিআর দাবি আদায় হয়নি। গণভোটও যদি না হয়, তাহলে জামায়াতের পরবর্তী কি ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে ? এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘আমরা আদায় করতে পারিনি কে বলছে। আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আজ রাতের মধ্যেই দেখি করবে কি না। কালও সময় আছে। বাকিটা কাল দেখা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘গণভোটকে গলা টিপে হত্যা করতেই বিএনপি নির্বাচনের দিন গণভোট চায়। বিএনপির আচরণ হচ্ছে তারা কোথায় লাভবান হবে সেই হিসাব করেই সংস্কার চায়।’
ডা.আব্দুল্লাহ তাহের অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বিএনপি বলছে, কোনোভাবেই গণভোট মানবে না। তাই ইন্টেরিম সরকারের অনতিবিলম্বে গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। কোনো সময়ক্ষেপন না করে আজই ঘোষণা করুন। রাতের বেলায়ও অনেক আদেশ জারি করা যায়। নাহলে আপনার সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আর যদি আস্থা হারিয়ে ফেলে তাহলে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন ইস্যু সামনে এনে একটা রাজনৈতিক অনাকাঙ্ক্ষিত সংশয় ও আস্থাহীনতার পরিবেশ যেন তৈরি না হয়। সময়ক্ষেপণ করতে করতে একটা সময় যদি বলা হয় গণভোটের সময় নেই, তাহলে এটা হবে প্রতারণা। প্রতিটি দিন-ঘণ্টা এখন গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশন প্রতিটি বিষয়ে সবাইকে একমত করতে চেয়েছিল। পরিশেষে ৬০ শতাংশ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সব দলের ঐক্যের ভিত্তিতে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। রিফর্ম তো সবসময় হতে পারে না। জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে হতে পারে না।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, আমরা বার বার বলে আসছি, ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন চাই। যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, সেটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চাই। গণভোটও আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে চাই। গণভোটের রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচন চাই এবং এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা চাই।
অভিযোগ করে আব্দুল্লাহ তাহের বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগেই কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এবং মহল থেকে বিভ্রান্তিমূলক ও পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাচন বানচাল নিয়ে ফেসবুকে নানা প্রচারণা চলছে আমাদের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এ টি এম মাছুম ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।
আ. দৈ./কাশেম