ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির ময়লা আর্বজনার ভেতরে টাকার খনি দখলে নিতে মাঠে নামছে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সিডিকেট। সবওয়ার্ডের বাসা বাড়ির ময়লা আর্বজনা কালেকশনের অর্থাৎ ভ্যান সার্র্ভিসের কাজ দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্যের নতুন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে প্রশাসকের সিন্ডিকেট। তার এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন প্রশাসকের কথিত আত্মীয় (বহিরাগত) লিটন ও মাহবুবুর রহমান ওরফে দালাল মাহবুব, ডিএনসিসির সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন ও তার সহযোগীরা।এই সিন্ডিকেটটি অনেক প্রভাবশালী, তাদের ইচ্ছার বাইরে ডিএনসিসির কোন কর্মকর্তার কথা বলার সাহস নেই।
নাম না প্রকাশের শর্তে ডিএনসিসির একাধিক কর্মকর্তা ‘আজকের দৈনিক পত্রিকাকে’ প্রচন্ড ক্ষোভের সাথে বলেন,এর আগে গত বছর ৫৪টি ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির বর্জ্য কালেশকনের জন্য একালীন জামানত নিয়ে বৈধভাবে অনুমতি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আবেদনকারীদের কাছ থেকে কাগজ পত্র ও জামানত হিসেবে পুরান ওয়ার্ডের জন্য ১০ লাখ টাকার ‘পে অর্ডার’ এবং নতুন ওয়ার্ডের জন্য ৬ লাখ টাকার ‘পে অর্ডার’ গ্রহণ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে,ওই সময় আবেদনকারীদের সাথে গোপনে লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন নগর ভবনে দাপ্তরিক কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী একপর্যায়ে এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কিন্তু নানা কারণে।ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ ভ্যান সার্ভিসের অনুমতি সংক্রান্ত কাজটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন ।
ডিএনসিসির অনেকের ধারনা, ‘পে অডারের চেক ফেরত’ পেলেও নগদ টাকার লেনদেন ফেরত পায়ানি আবেদনকারীরা। এতে অনেকের মাঝেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে গত ৮ এপ্রিল সকালে রাজধানীর বারিধারায় আমেরিকান অ্যাম্বাসীর কাছে রাস্তায় ডিএনসিসির নিরীহ পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক ‘হাবীব আল আহসানের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। সংক্ষুব্ধদের মধ্য থেকেই অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দুষ্কৃতিকারী ওইদিন ‘হাবীব আল আহসানকে মেরে ফেলার জন্যই হামলা করেছে। দুষ্কৃতিকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতের আহসানের মাথা.হাত পা,হাটুর মাংস ফাঁক হয়ে যায় এবং তার ডান পায়ের দু’টি হাড় সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়।
এই ঘটনায় পর দিন ৯ এপ্রিল ডিএনসিসির উপ প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১১। কিন্তু টানা ৭ মাসেও এই মামলায় কোন আসামিকে গ্রেপ্তার হয়নি।এমনকি ডিএনসিসির পক্ষ থেকেও আসামি গ্রেপ্তার করা এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রাখার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।এমন কি ভিকটিম ‘হাবীব আল আহসান’ নিজেও মামলার বিষয় নিয়ে নিরব। ডিএনসিসির কর্মকর্তার নানা কৌশলে এই বিষয়টি ধামাচাপার দেয়ার চেষ্টা করছেন। এই জন্যই কি মামলার তদন্তে কোন অগ্রতি নেই। ফলে এই বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ছবিটি- গত বছর ৮ এপ্রিল বারিধারায় এস টি এস’র সামনে ডিএনসিসির পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক আহসানের ওপর নৃশংস হামলার পর ঢাকা মেডিকেল থেকে তোলা
তবে ডিএনসিসির একাধিক কর্মকর্তা আরো জানান, ওই সময় নগর ভবনে পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক ‘হাবীব আল আহসান’ দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি প্রভাবশালী একজন সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কথিত ক্যাশিয়ার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছে। ৫৪টি ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির বর্জ্য কালেশকনে ভ্যান সার্ভিসের বৈধ অনুমতির জন্য আবেদনকারীদের সাথে আর্থিক লেনদেন , একালীন জামানতসহ দাপ্তরিক কাজে করেছেন তিনি।
এদিকে ভিকটিম ‘হাবীব আল আহসান’ আজকের দৈনিক পত্রিকাকে বলেন, আসামি ধরা ও তদন্ত করে চার্জশিট দেয়া পুলিশের কাজ। এ পর্যন্ত পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা তার সাথে যোগাযোগ করেনি, এমন কি তাকে জিজ্ঞাসা করে ওইদিনের ঘটনা সম্পর্কে জানতেও চায়নি। ফলে হাবীব আল আহসান তিনিও ইচ্ছে করে আর পুলিশের কাছে যাননি বলে জানান।
ডিএনসিসির নগর ভবনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের একজন কর্মকর্তার কথিত ক্যাশিয়ার তাকে কেনো বলা হয়? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব মিথ্যে কথা। তিনি নগর ভবনে থাকেন এটা অনেকেই চায় না। ৫৪টি ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির বর্জ্য কালেশকনে ভ্যান সার্ভিসের জন্য আবেদনকারীদের কাগজ পত্র গ্রহণ করা এবং রেকর্ড রাখার দাপ্তরিক কাজ করেছেন। এর বাইরে কোন ধরনের লেনদেনের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন না।
ভিকটিম হাবীব আল আহসান বলেন, ওইদিন গত ৮ এপ্রিল তার ওপর নৃশংস হামলার পর তাকে বাঁচাতে দ্রুত উদ্যাগ গ্রহণ করেছেন, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এবি এম সামসুল আলম (ই). পিএসসি.বিএন,উপ প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান ভূইয়া, সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেনসহ অনেক স্যারেরা। ওইদিন খবর পেয়েই স্যারেরা ঘটনা স্থলে ছুটে যান এবং তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তাকে আর্থিক সহযোগিতাও করেন। এই জন্য তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির ময়লা আর্ব্যজনার ভেতরে রয়েছে অনেক টাকার খনি দখলে নিতে আগে থেকেই মহড়া চলছে। তবে গত বছর ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই টাকার খনি দখলে নেয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিএনপির একাধিক নেতা, সাবেক মন্ত্রী-এমপি,সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্র দল এবং সাবেক আমলাদের লোকজনও। ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডের ভ্যান সার্ভিসের নামে প্রতি মাসে গড়ে ২৫ লাখ টাকা থেকে ৩৫ লাখ টাকার বাণিজ্য হচ্ছে। আগে ফ্যাসিস্ট সরকারের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকজন এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই বাণিজ্য করেছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নাম ব্যবহার করে ময়লা- আর্বজনা সংগ্রহের কাজের কালেকশন ভাগাভাগি করছেন।
আরো অভিযোগ উঠেছে,ওই সময় সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের দপ্তরের সিন্ডিকেটের অত্যন্ত প্রভাবশালী সদস্যদের মধ্যে বেশ কয়জন,বর্তমান প্রশাসকের সিন্ডিকেটে স্থান করে নিয়েছেন অনেকেই। তবে সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন অন্যতম। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এই মো. আরাফাত হোসেন চাকরির সুবাধে ইতোমধ্যে কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। কারণ ডিএনসিসিতে মেয়র আতিকুল ইসলামের আর্শীবাদপুষ্ট আরাফাত হোসেন বর্তমানে প্রশাসকেরও আস্থাভাজন। যারফলে তিনি নগর ভবনে ডিএনসিসিতে সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার এবং ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছে। শুধু তাই নয় ,ইতোমধ্যে দফায় দফায় বিদেশে ভ্রমণের সুযোগও তিনিই ভাগিয়ে নিচ্ছেন। তাকে ছাড়া নাকি বর্তমান প্রশাসক কিছুই বুঝেন না।
আরো অভিযোগ উঠেছে, আরাফাতের সহযোগিতায় প্রশাসককের দপ্তর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গোপনে ৫৪টি ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির ময়লা আর্বজনা কালেকশনের ভ্যান সার্ভিসের কাজটি দেওয়ার জন্য প্রায় ৭৫/৮০ জনের তালিকা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছেন।এই বিষয়টি নিয়ে ডিএনসিসির নগর ভবনসহ ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে বেশ মুখরোচক আলোচনা চলছে। শুধু তাই নয়, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও এই বিষয়টি নিয়ে গোপনে নজরদারি করছেন বলেও জানা যায়। এইভাবে গোপনে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে পছন্দের লোকজনকে ভ্যান সার্ভিসের কাজািট দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার মিশন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে এই সিন্ডিকেটটি।
তবে হুট করে এই ভাবে ভ্যান সার্ভিসের কাজের জন্য অফিসিয়ালী অনুমতি দিলে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে রয়েছে।
আরো জানা যায়,গতবছর ডিএনসিসির ওয়ার্ডগুলোতে বাসা বাড়ির ময়লা আর্বজনার কালেকশনের জন্য নগরীতে ভ্যানসার্ভিসের কাজ সুন্দরভাবে নিয়ম- নীতি মেনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন শর্তে সাপেক্ষে এক বছর মেয়াদী অনুমতি প্রদানের জন্য গত বছর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির শর্ত মেনে গত বছর ১৭ অক্টোবর থেকে গত বছর ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত নগদ ৫ হাজার টাকায় আবেদন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৭৬১ জন। ডিএনসিসির শর্তমেনে প্রত্যেক আবেদন ফরমের সাখে এক বছরের জামানত হিসেবে পুরানত ৩৬ ওয়ার্ডের প্রতিটির জন মধ্যে ১০ লাখ টাকার পে অডার/ ব্যাংক ড্রাফ, আর নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের প্রতিটির জন্য ৬ লাখ টাকা টাকার পে অডার/ ব্যাংক ড্রাফসহ চাহিদা মাফিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়।পরে গত বছর ১৭ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭৮ জন আবেদন পত্র জমা দেন।
কিন্তু আবেদনকারীরা ওইসময় গুলশানে নগড় ভবনে বিএনপির নাম ব্যবহার করে ডিএনসিসির প্রশাসক,প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা,উপ প্রধান ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা,সহকারী প্রধান ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দপ্তরে দলবেধে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি হুমকি দিতে থাকেন। আবেদনকারীদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভ্যান সার্ভিসের অনুমতি প্রদান সংক্রান্ত কার্যকারিতা বাতিল ঘোষণা করেন। একই সাথে আবেদনকারীদের দাখিল করা পে অডার/ব্যাংক ড্রাফ ফেরত দেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের লোকজনই ৫৪টি ওয়ার্ডের বাসা-বাড়ির বর্জ্য কালেশকনের সুযোগ বলবৎ থাকে। তবে স্থানীয়ভাবে বিএনপির কিছু লোকজন তাদের সাথে আপোষ করে আর্থিক সুবিধা আদায় করে যাচ্ছেন।
কিন্তু ওইসময় আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকে কাজটি পাবার আশায় গোপনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের দাপ্তরিক কাজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মোটা অংকের অবৈধ লেনদেন করেন। তবে তাদের অনেকেই অবৈধ লেনদেনের টাকা আর ফেরত পাননি, এক পর্যায়ে বিষয়ে ‘নগদ লেনদেনের সাথে জড়িত লোকজন মারমুখি হয়ে উঠে।
সূত্র মতে, আবার গোপনে ডিএনসিসিতে ৫৪ টি ওয়ার্ডে ভ্যান সার্ভিসের কাজ বন্টনের নামে প্রশাসকের সিন্ডিকেটর পকেটে এবার লাখ লাখ টাকা জমা হবে। তবে ডিএনসিসির ফান্ডে কোন টাকা জমা হবে না। কিন্তু অধিকাংশ ওয়ার্ডেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আশঙ্কা করছেন ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এদিকে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ দেশের বাইরে থাকায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিবের দায়িত্ব পালনকারী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ‘আজকের দৈনিক পত্রিকাকে’ জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে জানান আলোচিত ভ্যান সার্ভিসের বিষয়ে এখনো অফিসিয়াল কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনো তার দপ্তরে এসব বিষয়ে কোন নথিপত্র আসেনি। তিনি এসব বিষয়ে সহকারী প্রধান ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেনের সাথে কথা বলা পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য,ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক মেয়ের আতিকুল ইসলামের রেখে যাওয়া দুর্তীনিবাজ সিন্ডিকেট আবার সক্রিয় হয়েছে। আরাফাতের নেতৃত্বে তারা গোপনে সংঘটিত হচ্ছে। ছাত্রলীগের এককালে প্রভাবশালী নেতা আরাফাত হোসেন বর্তমানে বগুড়ার বাসিন্দা পরিচয়ে এবার বিএনপি সাজার চেষ্টায় আছেন।
এসব বিষয়ে, মো. আরাফাত হোসেন ‘আজকের দৈনিক পত্রিকাকে’ বলেন,গত বছর ৫৪ টি ওয়ার্ডের ভ্যান সার্ভিস সংক্রান্ত কাজের প্রক্রিয়ায় প্রথম পর্যায়ে তিনি জড়িত ছিলেন। এক পর্যায়ে ভ্যান সার্ভিস সংক্রান্ত কাজের বাতিল করেন কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, এর পর থেকে তিনি আর ভ্যান সার্ভিস সংক্রান্ত কার্যক্রম দেখাশোনা করেন উপ প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ভূঁইয়া, সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মাসুদ আহমেদ এবং প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার পিএ, রেজাউল করিম। আর বাকী অভিযোগ সম্পর্কে মোঃ আরাফাত হোসেন বলেন,এসব অভিযোগ সত্য নয়।
আ. দৈনিক / কাশেম