মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। বিপরীতে চড়া মূল্যস্ফীতির হারে এগিয়েছে। ২০২০ সালের করোনা মহামারির আঘাত এবং এর পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক মন্দা ছোবল দেয়। সেসব আঘাত থেকে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশই ঘুরে দাঁয়। তবে বাংলাদেশ এখনো পারেনি দাঁড়াতে। পাঁচ বছর পরও চড়া মূল্যস্ফীতি ও নিম্ন জিডিপির প্রবৃদ্ধির গতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ভুটানের ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, ভারতের ৬ দশমিক ২ শতাংশ, নেপালের ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম। দেশটির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।
আইএমএফ বাংলাদেশের সমান প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জন্য। দেশটির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি হবে। এর মধ্যে রয়েছে মালদ্বীপ। তাদের প্রবৃদ্ধির পূর্ভাবাস দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, শ্রীলংকায় গত বছর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের কোনো পূর্ভাবাস দেয়নি আইএমএফ। কারণ এর আগে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছিল। এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
এদিকে আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার এখনো বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি— ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। পূর্বাভাস বলছে, চলতি অর্থবছরে ভুটানের মূল্যস্ফীতি হবে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, ভারতের ৪ শতাংশ, মালদ্বীপের ২ দশমিক ৫ শতাংশ, নেপালের ৪ দশমিক ২ শতাংশ।
শ্রীলংকায় গত অর্থবছর মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি বছরে দেশটিতে কোনো মূল্যস্ফীতি নাও হতে পারে। মালদ্বীপ ও নেপাল জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের তুলনায় পিছিয়ে থাকলেও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানায় এগিয়ে রয়েছে।
প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনামের মূল্যস্ফীতি হবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ার ২ দশমিক ৯ শতাংশ, যা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম।
আ.দৈ/ওফা