এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোগে আয়োজিত “টেকসই অর্থায়ন বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রোগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাংকের প্রথম বার্ষিক টেকসই প্রতিবেদন- ২০২৪ প্রকাশ করা হয়।
ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনসহ পরিবেশগত, সামাজিক এবং সুশাসনের (ইএসজি) এর মতো বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়ে ব্যাংকের নির্বাহী ও কর্মকর্তাদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.শামসুল আরেফিন এর সভাপতিত্বে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান ঝুঁকি কর্মকর্তা এম. খোরশেদ আলম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ মোঃ মাহবুব আলম, মোঃ জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং মোঃ মনিরুল আলমসহ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যবৃন্দ, প্রধান কার্যালয়ের অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানগণ, আঞ্চলিক কার্যালয়, শাখা এবং উপ-শাখা থেকে আগত মোট ১৫০ জন নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক আহমেদ যুবায়ের মাহবুব, যুগ্ম পরিচালক মোঃ আবু রায়হান ও সহকারী পরিচালক মোঃ আবু নাইম এবং ইউরো নিটওয়্যার লিঃ এর ব্যবস্থপনা পরিচালক মোঃ খালেদ হোসেন খান আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন। এনসিসি ব্যাংকের এসভিপি এবং সাসটেইনেবল ব্যাংকিং ও উইমেনস ব্যাংকিং প্রধান নিঘাত মমতাজ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে টেকসই অর্থায়ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত “এনসিসি গ্রিন অলিম্পিয়াড” এর বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী বর্তমান প্রেক্ষাপটে টেকসই অর্থায়ন, সবুজ অর্থায়ন, পুনঃঅর্থায়ন, পরিবেশগত ও সামাজিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং এই খাতের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি এনসিসি ব্যাংকের ১ম বার্ষিক টেকসই প্রতিবেদন প্রকাশ এবং এই ধরনের সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম আয়োজনের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বিভিন্ন সেক্টরে অর্থায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশগত দিক বিবেচনার কথা উল্লেখ করে ব্যাংকিং সেক্টরসহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে এ বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।
এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন বলেন, এনসিসি ব্যাংক ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক শীর্ষ দশটি সাসটেইনেবল ব্যাংক এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে পরিবেশগত, সামাজিক এবং সুশাসনের (ইএসজি) এর মতো বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এনসিসি ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বার্ষিক টেকসই প্রতিবেদন-২০২৪ প্রকাশ করেছে যেখানে টেকসই ভবিষ্যত বিষয়ে ব্যাংকের কার্যক্রম বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ নির্ভুলতা ভাবে জাতীয় টেকসই নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা ব্যাংকের শক্তিশালী টেকসই আর্থিক ভিত্তির নিশচয়তা প্রদান করে। ভবিষ্যতে এনসিসি ব্যাংক সবুজ অর্থায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।