বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরতে পারেন। ফেরার আগে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে যেতে পারেন তিনি। বিএনপির কয়েকজন নেতা ও ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকরা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তারেক রহমান সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “সময় তো চলে এসেছে, দ্রুতই দেশে ফিরে আসব, নির্বাচনে অংশ নেব।”
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, তারেক রহমান দেশে ফিরে দলের নির্বাচনের নেতৃত্ব দেবেন।
আগামী ডিসেম্বরে প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। আর সেই তফসিল ঘোষণার আগেই দেশে ফিরে যাবতীয় প্রস্তুতি নেবেন তারেক রহমান— এটা প্রায় নিশ্চিত বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ দলের একজন উপদেষ্টা বলেন, “অনেক ‘যদি—কিন্তু’র পর এখন স্পষ্ট যে আমাদের নেতা নভেম্বরের মাঝামাঝি দেশে ফিরতে চান। নভেম্বরের ১০ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে তিনি ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ছাড়তে পারেন।”
দলীয় সূত্র জানায়, তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যাত্রা করবেন। যাত্রার আগে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব যেতে পারেন।”
তারেক রহমান গত কয়েক মাসে লন্ডনে দুই প্রভাবশালী কূটনীতিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাদের একজন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। ওই সাক্ষাতে দেশে ফেরার ব্ষিয়টি ওঠে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সম্প্রতি বলেছেন, তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন, তবে চূড়ান্ত তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
দলীয় সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে ট্রাভেল পাস ইস্যুসহ সব প্রক্রিয়া চলছে। তারেক রহমান বর্তমানে ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন (আইএলআর) স্ট্যাটাসে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
আইএলআর স্ট্যাটাসে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস, কাজ ও পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া যায়; ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন করা যায়।
এদিকে তারেক রহমানের দেশের ফেরার জোরালো সম্ভাবনার মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য একটি বুলেটপ্রুফ মিনিবাস এবং তারেক রহমানের জন্য একটি বুলেটপ্রুফ এসইউভি কেনার প্রক্রিয়া চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে গাড়ি দুটির অনুমোদন দিয়েছে।
তারেক রহমান দেশে ফিরলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “বিএনপির সব যৌক্তিক অনুরোধ বিবেচনা করা হবে।”
আ.দৈ/ওফা