ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর অধীনে দায়ের হওয়া সব মামলা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর ফলে এই আইনে গ্রেপ্তার, অভিযুক্ত বা দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই খালাস পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, "ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে এই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলার আওতায় থাকা সবাই মুক্তি পেয়েছেন।"
সংশোধিত অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮–এর ধারা ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১ এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধে সহায়তা করার অভিযোগে চলমান সব মামলা ও তদন্ত বাতিল বলে গণ্য হবে। আদালত বা ট্রাইব্যুনালের দেওয়া যেকোনো দণ্ড ও জরিমানাও কার্যকর থাকবে না।
এ সিদ্ধান্তের ফলে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, লেখকসহ বহু মানুষ যারা এ আইনের আওতায় হয়রানির শিকার হয়েছেন, তারা আইনি জটিলতা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন।
এদিনের বৈঠকে আরও দুটি অধ্যাদেশ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে: ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং জাতীয় উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, নতুন অধ্যাদেশগুলোর মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ও ডিজিটাল অধিকার আরও সুরক্ষিত হবে, এবং গোপনীয়তার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।