বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে রযেছে। দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকজন মার্কেটের দোকান দখল করে মোটা অংকের টাকা আয় করে আসছিল। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পুরনো গ্রুপের সঙ্গে বাক বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দোকান মালিক সমিতির পক্ষে এক ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীরা জানান, বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের সংখ্যা, কমিটির কার্যক্রম ও সেখানকার কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দ্রই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। আগুনের ঘটনায় ২ হাজার ৯৬১ জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কোনো দোকান অক্ষত ছিল না। কিন্তু তখন কেউ কেউ এসে বলা শুরু করল, ২ হাজার ৬০০ দোকান। বাকি দোকান কোথায় গেল ? এমন প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের।
এদিকে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়, ১৯৮৯ সাল থেকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে ২৩৭০ জন দোকান মালিক বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স নামে ব্যবসা করে আসছে। ২০০৮ সালে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর কিশোরগঞ্জ ৫ আসনের এমপি আফজাল হোসেন নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতার দাপটে বঙ্গবাজার এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করে। পাশাপাশি বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।
এরপর থেকেই দোকান মালিক সমিতিকে ব্যবহার করে সাবেক মেয়র ফজলেনুর তাপস ও সিটি করপোরেশনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নিয়ে নতুন আয়ের পথ সৃষ্টি করে। এই চক্রের সদস্যরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ২ হাজার ৩৭০ দোকান থেকে ৯০ টি দোকান বাড়িয়ে ২ হাজার ৯৬১ তে রূপান্তর করে। অতিরিক্ত ৫৯১ টি দোকান বরাদ্দ দিয়ে তারা ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
এদিকে ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ভোর রাতে ফ্যাসিস্ট আমলের ওই চক্রটি মার্কেটে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ক্ষতি হয় প্রায় 500 কোটি টাকা। ওই সময় মামলার আসামিরা ক্ষমতায় থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে করা সম্ভব হয়নি। মজার বিষয় হচ্ছে ওই চক্রটি আবারো মার্কেটের দখল নিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আতাত শুরু করেছে। অবিলম্বে এসব ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যভস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।