আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমমনা দলগুলোর জন্য অন্তত ৫০টি আসন ছেড়ে দেয়ার চিন্তা করছে বিএনপি। একই সঙ্গে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। এ দায়িত্বভার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেয়া হয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন তারেক রহমান।
জানা গেছে, তারেক রহমান ইতিমধ্যেই পাঁচটি জরিপ সম্পন্ন করেছেন এবং বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে প্রার্থীদের সম্পর্কে মতামত নিয়েছেন। এবার মনোনয়ন তালিকায় ত্যাগী, সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, আন্দোলনে সক্রিয় এবং এলাকায় জনপ্রিয় ‘ক্লিন ইমেজধারী’ প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। ফলে সারা দেশে শতাধিক তরুণ নতুন প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে পারেন।
এদিকে আসন্ন দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে একটি মনিটরিং টিম গঠন করেছে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ টিমের প্রধান সমন্বয়ক। বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা সহ—সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করবেন। জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে মণ্ডপ পাহারায় নিয়োজিত থাকবে। বৈঠকে এ বিষয়ে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।
তাছাড়া বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতারা নিন্দা জানান এবং একে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেন।
এ ছাড়া ভারতের একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাক্ষাৎকার নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। ফখরুল দাবি করেন, তার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও এ ব্যাখ্যা মেনে নেন।
আ.দৈ/ওফা