গত বছর জুলাই-আগষ্টে রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্র জনতার গণআন্দোলন দমনের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা সংক্রান্ত ফোনালাপের রেকর্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ শোনানো হয়েছে। রেকর্ডে পরিস্কার বুঝা যায়, জুলাই অভ্যুত্থান দমনে হাসিনার নির্দেশনার বিষয়গুলো রয়েছে।
আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়ার সময় এসব ফোনালাপ শোনানো হয়। আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ,ওই সময়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তৎকালীন আইজিপির বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ ফোনালাপের জব্দ করা কলরের্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কয়েকটি ফোনালাপের অডিও রেকর্ড ট্রাইব্যুনালকে শোনানো হয়েছেন।
শেখ হাসিনার এসব ফোনালাপের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও তার আত্মীয় শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে একটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে দুটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামালের একটি ফোনালাপ রয়েছে। এসব ফোনালাপে জুলাই অভ্যুত্থান দমনে হাসিনার নির্দেশনার বিষয়গুলো রয়েছে।
এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক মো. জানে আলম খান। পরে তদন্ত করেন উপ-পরিচালক মো. আলমগীর (পিপিএম)। সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা।
এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ দেওয়া হয়। ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।
গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে যে আবেদন করেছেন, তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।
আ. দৈ./কাশেম