এশিয়া কাপে বাংলাদেশ গ্রুপপর্বে দুই ম্যাচ জিতে নিজেদের কাজটা সেরে রেখেছিল। তবে সুপার ফোরের টিকিট কাটতে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে। সেখানে আফগানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বে গেছে শ্রীলঙ্কা, আর রানার্সআপ হয়ে এশিয়া কাপে সুপার ফোরে পৌঁছেছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে তিন ম্যাচের সবকটি জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে চ্যাম্পিয়ন দল শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচের দুটিতে জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়ে সুপার ফোরে খেলবে বাংলাদেশ। ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে রশিদ খানের দল।
প্রথম ম্যাচে হংকংকে হারিয়ে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ, পরের ম্যাচে ধাক্কা আসে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারের পর শঙ্কা জেগেছিল আসর থেকে ছিটকে যাওয়ার। সবশেষ আফগানিস্তানের সঙ্গে জয়ের পর সুপার ফোরে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের তোলা ১৫৪ রানের জবাবে ১৪৬ রানে অলআউট হন রশিদরা, ৮ রানে জেতে লিটন দাসের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ উইকেটে হারের আগে হংকংয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলেছিল বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে নেমে দুটি সমীকরণ ছিল শ্রীলঙ্কানদের সামনে। আসালাঙ্কার দলকে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে জিততে হবে, অথবা অন্তত ১০১ রান করতে হবে লঙ্কানদের। তাড়ায় নেমে এরচেয়ে কম রান করলে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারত না তারা। তখন বাংলাদেশ নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় পরের রাউন্ডে খেলার সুযোগ পেত। আর আফগানিস্তান সুপারে যেত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। ম্যাচে শ্রীলঙ্কা জেতায় এত হিসেবে যেতেই হয়নি।
আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে শেষদিকে মোহাম্মদ নবীর ঝড়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ করে রশিদ খানের দল। জবাব দিতে নেমে আসালাঙ্কার দল ৮ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে ম্যাচ জিতে নেয়। গ্রুপসেরায় সুপার ফোরও নিশ্চিত হয় শ্রীলঙ্কার, সঙ্গী হয় বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করতে নামা আফগানদের অলরাউন্ডার নবীর ঝড়ো ২২ বলে ৬০ রানের ইনিংসটি সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ করেন ইব্রাহিম জাদরান ও রশিদ খান। দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকউল্লাহ অতল দুঅঙ্ক ছুঁয়ে ১৪ ও ১৮ রান করেন। নুয়ান থুসারা ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।
বড় লক্ষ্যের জবাব দিতে নেমে কুশল মেন্ডিসের ফিফটিতে ৬ উইকেটের জয় তুলেছে লঙ্কানরা। ৫২ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে করেছেন ২৩ বলে ৫২ রানের সর্বোচ্চ জুটি।