ছবিতে- --মসজিদ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে মোনাজোতে অংশ নিয়েছেন ,প্রশাসক,আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী ও শ্রমিক কর্ম চারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ
রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক কার্যালয়-৪ এর চত্ত্বরে সুন্দর একটি মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে। এই মসজিদে পাঁচ শতাধিক লোকের একত্রে নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা থাকবে। ডিএনসিসির উক্ত কার্যালয়ে এই ধরনের একটি মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি ডিএনসিসির জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো.সিদ্দিকুর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। অবশেষে তাদের সম্মিত প্রচেষ্টায় আজ অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। সুন্দর পরিবেশে একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা উক্ত মসজিদের ছাদ ঢালাইসহ নির্মাণ কাজের অগ্রতি সরেজমিন পরিদর্শন উপলক্ষে দোয়া ও ভুঁরিভোজের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন,নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান, অঞ্চল-২ এর করকর্মকর্তা শেখ অহিদুজ্জামান, মো. রাকিবুল হাসান (মিরাজ), ডিএনসিসিতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো.সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বুলেট, সহ সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ, সহ সভাপতিমো. মমিন উল্লাহ, সহসভাপতি মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল আহসান রেজা (তারেক),যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. গাদ্দাফি হোসেন রবিন,অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল করিম, দপ্তর সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন,সমাজ কল্যান ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. চাঁদ মিয়া,আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল হাসান চিশতী,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. আসাদ. যুব ও ক্রীয়া সম্পাদক মো. মিন্টু মিয়াসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএনপির বেশ কিছু নেতা ও কর্মী অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।
এদিকে মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে ডিএনসিসির শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো.সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন স্যারের পরামর্শ, জমি নির্ধারণ করে দেওয়াসহ প্রশাসক স্যারের দপ্তরের অনুমোদন, অর্থ বরাদ্দ পর্যন্ত সব কাজে সহযোগিতা করেছেন।তিনি আরো বলেন, প্রশাসক স্যার এই মসজিদ নির্মাণে এগিয়ে এসেছেন এবং অর্থ ছাড় করাসহ অনেক আন্তরিক ছিলেন। মসজিদের ইমাম সাহেবের থাকার জন্য পৃথক কক্ষ, অজু খানা, নামাজিদের জন্য টয়লেট/ প্রসাব খান নির্মাণ করা হবে। আরো আধুনিক সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে।
এছাড়া ডিএনসিসির কর্মকর্তারা বলেন, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো.সিদ্দিকুর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ একটি সুন্দর মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। এই মসজিদে নিয়মিত শুক্রবারে জুমার নামাজসহ দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এই মসজিদে ডিএনসিসির কর্মকর্তা,কর্মচারীদের পাশাপাশি ওই এলাকায় লোকজনও।
ডিএনসিসির কর্মকর্তারা আরো বলেন,বর্তমানে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়-৪ এর ভেতরে দ্বিতীয় তলায় ছোট্ট একটি কক্ষে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নামাজ পড়েন। এই অবস্থার পরিবর্তন আনতেই মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন সিদ্দিকুর রহমান। তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেনআঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বলতেগেলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং প্রশাসকের সার্বিক সহযোগিতায় এই মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে। প্রশাসক দ্রুত মসজিদটি নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।