ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপের খসড়াকে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই রোডম্যাপ আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আখতার আহমেদ।
তিনি জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ নভেম্বর। যেসব নাগরিক ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ করবেন, কেবল তারাই এবারের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু হবে আগামী সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমে গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হবে, এরপর পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে আজ ছিল দাবি ও আপত্তির শেষ দিনের শুনানি। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, চারজন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে পাবনা-১ আসনের পুনর্গঠন নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ ভিন্নমত উপস্থাপন করেন। জামায়াত সমর্থিত কয়েকজন প্রতিনিধির দাবি ছিল, শুধু সাঁথিয়া উপজেলা নিয়ে একটি পৃথক আসন গঠন করা হোক।
অন্যদিকে, স্থানীয় বিএনপি নেতারা ইসির প্রস্তাবিত খসড়ায় থাকা সাঁথিয়া ও বেড়ার সমন্বয়ে গঠিত আসনের প্রতি সমর্থন জানান। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ-২ ও ৬ আসনের কিছু বাসিন্দা ২০০১ সালের সীমানা পুনর্বহালের দাবি জানান, এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনের পক্ষ থেকে চিলমারীর চারটি ইউনিয়নকে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব আসে। নির্বাচন কমিশন সব দাবি ও আপত্তি যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩০ জুলাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য খসড়া আসনসীমানা প্রকাশ করেছিল ইসি। একইসঙ্গে, গত ২১ আগস্ট অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কমিশন রোডম্যাপের বিষয়বস্তু ও কাঠামো নিয়ে আলোচনা করে। ওই রোডম্যাপে নির্বাচন সংক্রান্ত নানা প্রস্তুতি— যেমন ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী আইন ও বিধিমালার সংস্কার, সংলাপ আয়োজন, আসন সীমানা নির্ধারণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ, প্রিন্টিং এবং আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক পরিকল্পনা— সবকিছু বিস্তারিতভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।