ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্তমান প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের আমলে শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে, 'ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ' অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকা এবং সরকার এবং দেশি-বিদেশি সংস্থার অনুদান, সাহায্য ও ঋণের অর্থ ফ্রি স্টাইলে বড় বড় কেনা কাটাসহ লোক দেখানো নানা অনুষ্ঠান, কথিত উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ডিএনসিসিকে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, কমিশন বাণিজ্য এবং লোপাটের আখঁড়ায় পরিনত করা হয়েছে। এসব অভিযোগের যেন শেষ নেই।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ওয়াকিটকি ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা।
আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিমের কর্মকর্তারা গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এই অভিযান পরিচালনা করেন। এরআগেও একাধিকবার ডিএনসিসিতে দুদক কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু ঘুষ.দুর্নীতি ও লোপাট বন্ধ হচ্ছে না। বরং দুর্নীতির কৌশল পরিবর্তন হচ্ছে এবং অনিয়ম আরো বেড়েই চলছে।
গণমাধ্যমকে ডিএনসিসিতে অভিযান চালানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম। তিনি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আরো জানান, অভিযানকালে দুদক টিমের কর্মকর্তারা প্রাপ্ত অভিযোগ এবং সংগৃহিত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করেন। দুদক কর্মকর্তাদের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও একটি দেশীয় কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ওই কোম্পানি একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের সনদ ব্যবহার করেছে।
তিনি আরো জানান, দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের কর্মকর্তারা প্রাপ্ত অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলেছেন্। একই সাথে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ওইসব রেকর্ডপত্র প্রাথমিক বিশ্লেষণকালে দুদক কর্মকর্তারা দেখতে পান যে, ডিএনসিসির ক্রয়কৃত ওয়াকিটকির দাম অন্যান্য সরকারি সংস্থার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। বিস্তারিত যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে প্রকিউরমেন্ট সংক্রান্ত সকল রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। রেকর্ডপত্রসমূহ পর্যালোচনা শেষে টিম কর্তৃক কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
আ. দৈ./কাশেম