আজ দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের অ্যাভিয়েশন ইউনিভার্সিটির পুরাতন পিএসসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিমানবাহিনী
রাজধানীর আকাশসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুদ্ধবিমানের ঘাঁটি প্রয়োজন এবং রাজধানী থেকে এ বিমানঘাঁটি সরানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানালেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এয়ার কমোডর শহিদুল ইসলাম। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের অ্যাভিয়েশন ইউনিভার্সিটির পুরাতন পিএসসি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রাজধানী থেকে যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ ঘাঁটি সরানো হবে কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে ঘাঁটি সরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।’যুদ্ধবিমান পরিচালনায় বিশাল জায়গার প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি রাজধানীর আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতেও এই ঘাঁটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের বহু দেশের রাজধানীতেও এমন ঘাঁটি রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিমানবাহিনীর জরুরি সমন্বয়ক কেন্দ্রের এয়ার কমডোর মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকবে বিমানবাহিনী। প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ ও গভীরভাবে শোকাহত। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
দুর্ঘটনার সময় পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ ছিল কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবে। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পাইলট তৌকিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনার দিন স্কুলে ৭৩৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৫৩৮ জন।
নিচতলায় গ্রিল থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পুরো জায়গাটি একসময় নিচু ছিল। পরে বালি ফেলে মাটি উঁচু করা হয়। এর আগেই ভবনের নিচতলায় গ্রিল বসানো হয়েছিল শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই।’
মাইলস্টোনের দিয়াবাড়ি শাখা খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুল আবার কবে খুলবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে যত দ্রুত সম্ভব খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।