শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অবমাননা এবং শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট ও মব সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি পন্থী শিক্ষক সংগঠন , জিয়া পরিষদ, ইউট্যাব ও শাখা ছাত্রদল।
আজ সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে সমাবেশে সমবেত হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, ইবির জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড.ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আজিজ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ টি এম মিজানুর রহমান, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, যুগ্ম আহবায়ক আবু দাউদ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম সহ বিভিন্ন স্তরের বিএনপিপন্থি শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী বৃন্দ।
মিছিলে তাদের "স্বৈরাচার রাজাকার মিলেমিশে একাকার", "স্বৈরাচারের আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও", "এই মুহুর্তে বাংলা ছাড় দিল্লি গেছে স্বৈরাচার" ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। সমাবেশে জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড.মো. এমতাজ হোসেন বলেন, স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের ছবির উপর পা দিয়ে তারা শুধু ছবিকেই অবমাননা করেনি বরং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে অপমান করেছে।
এসময় ইউট্যাব'র সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, গত বুধবার যে ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশর ইতিহাসে এ রকম ন্যাককার জনক ঘটনা কখনোই আমরা দেখিনি, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গত কয়েকদিন ধরে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে যে অপপ্রচার চলছে তা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো থেকে গেছে, তারাই এই অপপ্রচার গুলো চালিয়ে যাচ্ছে।
জিয়া পরিষদের সভাপতি ড. মো. ফারুকুজ্জামান খান বলেন, ৫ ই আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে বিএনপি'র বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চলছে বিশেষ করে গালিগালাজের যে সংস্কৃতি, খুব বেশি না হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে এর প্রতিবাদ করা হয় নি। কারণ সারা বাংলাদেশের জনগণ অধীর আগ্রহে বসে আছে, কবে নির্বাচন হবে আর তারা ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে যাবে।
এই ভোট যেন পিছিয়ে না যায়, মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছানো যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রাতদিন এইটার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ড. ইউনুসের সাথে তারেক জিয়ার বৈঠকের পর থেকে একটা দল মনে করছে তাদের থেকে সব হারিয়ে যাচ্ছে। তাই তারা সোসাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে যাচ্ছে।
এসময় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন,"৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা পরিবর্তিত সুন্দর রাষ্ট্র ব্যবস্থা চেয়েছিলাম। পতিত স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে বর্তমানে দিল্লিতে অবস্থান করছে। কিন্তু একাত্তরে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক দালালেরা আর চব্বিশের মানবতা বিরোধী স্বৈরাচার গোষ্ঠী মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। বাংলাদেশ পন্থীদের শক্তি, জাতীয়তাবাদ শক্তি ও ধর্মীয় বিশ্বাসের যে শক্তি আছে তার প্রধান উপকরণ হলো জনাব তারেক রহমান। সেই তারেক রহমানকে নিয়ে একটি গোষ্ঠী, পাকিস্তানি অপশক্তি অপপ্রচার চালাচ্ছে, অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। তাদেরকে আমি জারক সন্তান বলবো। আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, তিনি আগামীর বাংলাদেশ। তিনি শিশুকালে পাক সেনা দ্বারা নির্যাতিত। তিনি দীর্ঘদিন লন্ডনে নির্বাসিত। যেসব জামাত নেতারা বলছেন আমরা ষড়যন্ত্রমূলক স্বাধীনতা চাইনি তাদেরকে বলতে চাই আপনাদের ঠিকানা পাকিস্তানে, আপনাদের ঠিকানা দিল্লিতে।
আ. দৈ./কাশেম