পাকিস্তানের বিনোদন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। করাচির ডিফেন্স ফেজ-৬ এর একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী হুমায়রা আসগরের (৩২) মরদেহ।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে ফ্ল্যাটটি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে প্রতিবেশীরা পুলিশের কাছে খবর দেন। পরে পুলিশ দরজায় ডেকে সাড়া পাননি। অবশেষে দরজা ভেঙে অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অভিনেত্রী হুমায়রার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছিল। আর তারপরেই সেখানে উঠে এসেছে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, পুলিশ যখন অভিনেত্রীর লাশ খুঁজে পায়, তখন তার লাশ পচে যাচ্ছিল। হাঁটু পর্যন্ত গলে গিয়েছিল অভিনেত্রীর। মুখ বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ প্রথমে তার পরিচয় ও বুঝতে পারেনি। পরে অভিনেত্রীর মোবাইল, ছবি ও অন্যান্য জিনিস দেখে পুলিশ উদ্ধার করে যে এটি হুমায়রা আজগরের মরদেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, হুমায়রার দেহে পোকা ধরে গিয়েছিল। লাশ শনাক্ত করাই কঠিন হয়ে পড়েছিল। পুলিশ লাশ শনাক্ত করার পরে ময়নাতদন্তে পাঠায়। আর ময়নাতদন্ত থেকেই উঠে আসে এই সমস্ত বিস্ফোরক তথ্য।
তদন্তে আরও জানা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে ৬ মাস আগেই। ২ সপ্তাহ নয়, ৬ মাস ধরে ওই বন্ধ ফ্ল্যাটেই পড়েছিল অভিনেত্রীর দেহ। প্রতিবেশীরা কিছু বুঝতেও পারেননি।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, অক্টোবর ২০২৪ সালেই নাকি মৃত্যু হয়েছে হুমায়রার। অক্টোবর মাস থেকেই বিদ্যুতের বিল দেননি হুমায়রা। সেই কারণে তার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পর্যন্ত কেটে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ থেকে করাচির ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন হুমাইরা।
তবে ২০২৪ সালে তিনি ফ্ল্যাটের ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন। সেই কারণে সেই বাড়ির মালিক হুমায়রার বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল।
তবে ফরেন্সিক রিপোর্ট বলছে, এই সব কিছু জানার আগেই মারা গিয়েছিলেন হুমায়রা। পুলিশ হুমাইরার বাড়িতে খবর পাঠালে ও তার মরদেহ বাড়িতে দিতে চাইলে তা নিতে অস্বীকার করেন তার বাবা।
হুমাইরার বাবা জানিয়েছেন, তার মেয়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। দীর্ঘদিন আগেই তারা মেয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছেন। হুমায়রা কোথায় রয়েছে, কেমন আছে কিছুই তারা জানতেন না।