বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) বিতর্কিত প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি পাঠানোর বিষয়টি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুদককে চিঠি দেওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা দুঃখজনক। এটি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে নয়, বরং জাতীয় স্বার্থে দেওয়া হয়েছিল।
বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে বিটিসিএলের ‘ফাইভজি উপযোগীকরণে অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’ প্রকল্পটি। জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া এ প্রকল্পে অর্থ ছাড়ের বিষয়ে দুদককে একটি ডিও (ডেমি-অফিশিয়াল) চিঠি পাঠান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ফাইভজি রেডিনেসে পিছিয়ে পড়া ঠেকাতে, প্রযুক্তিগতভাবে বিটিসিএলকে সক্ষম করে তুলতে, এডিপি বাস্তবায়নের হার বাড়াতে এবং বিটিসিএলের সংশ্লিষ্ট আরেক প্রকল্পের অধীনে স্থাপিত যন্ত্রপাতিগুলো কার্যকর রাখতেই এই প্রকল্প চালু রাখা জরুরি। এ বিষয়ে আপনার মনোযোগ ও সহায়তা কামনা করছি।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রকল্পের যন্ত্রপাতি কেনার পর বিল পরিশোধের আগে বিশেষজ্ঞ কমিটি যাচাই করবে যন্ত্রপাতিগুলো সত্যিই ফাইভজি সমর্থন করে কি না এবং অন্তত ১২ বছরের পরিষেবা নিশ্চয়তা দিতে পারবে কি না।
অন্যদিকে দুদকের অনুসন্ধানী দল এবং বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে প্রকল্পটিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে প্রকল্পের কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
তবে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রকল্প চালিয়ে নেওয়ার পরামর্শ কোনো দুর্নীতিকে আড়াল করার প্রয়াস নয়, বরং যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে জাতীয় প্রযুক্তিগত উন্নয়নের স্বার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, একটি জাতীয় দৈনিকে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে দায়ী করে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সেই সংবাদের ব্যাখ্যা দিতে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।