বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য আয়োজিত বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলা ও হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার ই-অরেঞ্জ ক্যালেংকারীর মূল হোতা আমানুল্লাহর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউদ্দিন আহমেদ শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে নয়া পল্টন বিএনপি'র পার্টি অফিসে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।
উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য মামলার বাদী ভিকটিম সহ নেতাকর্মীরা বিমানবন্দর থেকে পল্টন এর উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এ সময় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আমানুল্লাহ সহ অপর আসামীগণ বাদীসহ বিএনপি'র অন্যান্য নেতাকর্মীদের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। উক্ত ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাদী একাধিকবার মামলা করার চেষ্টা করলেও কোন থানা তার মামলা গ্রহণ করেনি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাদী তার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের দ্বারস্থ হন। পরে আদালতের নির্দেশক্রমে বিমানবন্দর থানায় গত ২০ জুন মামলাটি রুজু করা হয়। পরবর্তীতে গত ২৭ জুন বিমানবন্দর থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে আমান উল্লাহকে গ্রেফতার করে। আমান উল্লাহ ছাড়াও এই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের সহ ১১৮ জনকে আসামী করা হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, শুধু প্রতারণা নয়, আমান উল্লাহ ২০২৪ সালের জুলাই মাস জুড়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার আন্দোলন চলাকালীন সময় ঢাকা মহানগর ও জেলার যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অর্থ সরবরাহ করেছে এবং তার এ্যালিফেন্ট রোডের অফিসে 'শেখ হাসিনাতেই আস্থা' নামক একটি প্রচার সেল গঠন করে সেখান থেকে ছাত্রজনতার আন্দোলন বিরোধী প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে।
তার বিরুদ্ধে ই-কমার্সের নামে ই-অরেঞ্জের মাধ্যমে ১১০০ কোটি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে এবং এ বিষয়ে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৫৪ টি মামলা রয়েছে