জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দু'টি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা রাজনৈতিক দলগুলো অনুভব করে। দুয়েকটি দলের মধ্যে এ ব্যাপারে নীতিগত মত পার্থক্য থাকলেও একটি সাংবিধানিক ব্যবস্থার বিষয়ে সকলে মত দিয়েছেন। এসব প্রেক্ষিতে দলগুলো নিজেদের অবস্থানের পাশাপাশি অন্যদের অবস্থান সম্পর্কেও জানতে পারছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় সকল রাজনৈতিক দল মতামতও দিচ্ছেন আবার মতবিনিময়ও করছেন। যা কমিশনকে অগ্রসর হতে সাহায্য করছে।
বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার তৃতীয় বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, প্রথম দফার বৈঠকে সৃষ্ট মত ভিন্নতার কারণে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা শুরু করায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক অবস্থান জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনার ক্ষেত্রে মত ভিন্নতার কারণেই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রথম পর্বের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো পৃথক পৃথকভাবে তাদের অবস্থান জানিয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে পারস্পরিক আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরো বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দুটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ক্ষমতার ভারসাম্যের জন্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে পুনর্বার আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
আগামীকাল সকাল ১১টায় আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে কমিশনের।