ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাতের পঞ্চম দিনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া ভাষায় সতর্কবার্তা দিয়েছেন। গতকাল সোমবার (১৬ জুন) তিনি তেহরানবাসীকে দ্রুত শহর ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ইরানকে কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া যাবে না।’
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি তাদের সেই ‘চুক্তি’তে সই করতে বলেছিলাম। কী ভয়ংকর ভুল! কত প্রাণ হারাল! স্পষ্ট করে বলছি—ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দেওয়া যাবে না। আমি বারবার এই কথাই বলেছি!”
পোস্টে ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, ‘এখনই সবাইকে তেহরান ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত!’
তাঁর ভাষায়, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ শুধু একটি রাজনৈতিক স্লোগান নয়—এর গভীর অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো—ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত হতে দেওয়া যাবে না। আমেরিকাকে আবার মহান করো!’
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্টের চলতি কার্যক্রম নিয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট ‘এক্স’ (পূর্বের টুইটার)-এ জানান, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ট্রাম্প কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলন শেষে রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে নৈশভোজ করে রাতেই রওনা হবেন।
বিস্ফোরক আইনের মামলায় খালাস এ্যানিসহ ৮ জনবিস্ফোরক আইনের মামলায় খালাস এ্যানিসহ ৮ জন
এদিন আরও আগে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ মন্তব্য করেন, তেহরানে যারা সরকারি বা সামরিক স্থাপনার আশপাশে বাস করছেন, তাদের অবিলম্বে স্থান ত্যাগ করা উচিত। কারণ ওইসব স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হতে পারে। তবে ইসরায়েলের লক্ষ্য সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতিসাধন নয় বলেও তিনি জানান।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি মানচিত্র প্রকাশ করে দেখিয়েছে, কোন এলাকাগুলো তেহরান ত্যাগের সতর্কবার্তার আওতায় পড়ছে। এই অঞ্চলটি প্রায় ৩০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত, যেখানে বসবাস করছে কয়েক লাখ মানুষ।