গাইবান্ধার ফুলছড়িতে খাস জমি দখল করে ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপি'র দলীয় অফিস তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারি ওয়াল সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে (সোনালী ব্যাংকের সামনে) বুড়াইল মৌজার ৫২৩৪ দাগে ১ নং খাস খতিয়ানের ২ শতাংশ জমি রয়েছে। যা বি আর এস রেকর্ডে বাংলাদেশ সরকারের নামে ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত।
গত ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ১ সেপ্টেম্বর উক্ত জায়গা দখল করে বিএনপি'র দলীয় অফিস উদ্বোধন করেন বগুড়া শহর যুবলীগের বানিজ্য- বিষয়ক সম্পাদক, ৫ তারিখের পর খোলস পাল্টানো বিএনপিতে যোগদান প্রত্যাশী আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদ, ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি সাদেকুল ইসলাম নান্নু ও ফুলছড়ি উপজেলা যুবদলের আহবায়ক নজরুল ইসলাম নান্টু উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব আসিফ সাজ্জাদ ছোটন সহ বিএনপি'র কিছু নেতা কর্মী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উদাখালী ইউনিয়নের এক ব্যক্তি বলেন, আমরা জানি এটা খাস জমি। অনেক আগে এ স্থানে বিল্ডিং করার জন্য পিলার তৈরি করলে প্রশাসন এসে বাঁধা দেয়ার কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎ এখানে বিএনপির পার্টি অফিসের সাইন বোর্ড লাগানোর পর থেকে দেখি আবার পুরোদমে ছাদ নির্মানের কাজ চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপি'র এক নেতা জানান, বিএনপির সভাপতি তার কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে খাস জমি দখল করে পার্টি অফিস উদ্বোধন করেছে। আমরা তার সাথে একমত নই। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি চলছে।
খাস জমি দখল করে বিএনপি'র দলীয় অফিস উদ্বোধন বিষয়ে ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি সাদেকুল ইসলাম নান্নু'র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা জমির মালিকের নিকট থেকে ঘর ভাড়া নিয়েছি। খাস জায়গা দখল করি নাই।
জমির মালিক দাবীদার জহুরুল হক ভান্ডারী বলেন, আমাদের ক্রয়কৃত জমির মধ্যে ২ শতাংশ জমি খাস খতিয়ানে থাকায় আমরা ফুলছড়ি সহকারী জজ আদালতে মামলা করে রায় পেয়েছি। রায় পাওয়ার আগে আমরা উক্ত জায়গায় বিল্ডিং করতে গেলে প্রশাসন বাঁধা দেয়। তাই দীর্ঘদিন কাজটি বন্ধ ছিল। আমার কাছ থেকে গত ৩১ আগষ্ট আলহাজ মোঃ নাহিদুজ্জামান নিশাদ ঘর ভাড়া নিয়ে বিএনপির অফিস করলে আমি অসমাপ্ত কাজ করে দেয়ার জন্য কাজ শুরু করি।
ফুলছড়ি সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিলা তাসনিম বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করেছি। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
আ. দৈনিক. /একে