ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী বাকচান্দা আব্দুস সামাদ (এএস) একাডেমির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে পবিত্র ঈদুল আজহার (কোরবানির ঈদ) পরদিন তা অনুষ্ঠিত হবে। দিনব্যাপী আয়োজনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করতে আহ্বান জানিয়েছে আহ্বায়ক কমিটি।
আহ্বায়ক কমিটি জানিয়েছে, বাকচান্দা আব্দুস সামাদ একাডেমির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, দীর্ঘ প্রায় ৫৬ বছর পর হলেও প্রথমবারের মতো সিনিয়র-জুনিয়র মিলে একটি মিলনমেলার আয়োজন হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে। ইনশা আল্লাহ, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ঈদুল আজহার পরদিন আমাদের পুনর্মিলনী উদ্যাপন হবে।
আহ্বায়ক কমিটি আরও জানায়, পুনর্মিলনী নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে প্রথমে একটি আহ্বায়ক কমিটি ও প্রতি ব্যাচ থেকে ২ জন করে প্রতিনিধি নির্ধারণ করা হয়। এরপর অর্থ, প্রচারসহ বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার আগে আরও কয়েকটি উপকমিটি গঠন করা হবে। যেসব কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেগুলোর সদস্যরা ইতিমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
আহ্বায়ক কমিটির তথ্যমতে, স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি ব্যাচের প্রতিনিধি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ব্যাচ-প্রতিনিধিদের মাধ্যম পুনর্মিলনীর নিবন্ধন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত। নিবন্ধন কার্যক্রম ব্যাচ-প্রতিনিধির মাধ্যমে অনলাইন ও অফলাইন দুইভাবেই করা যাবে।
এই আয়োজনে শুধুমাত্র প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা (স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান) অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। নিবন্ধনের জন্য জনপ্রতি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের জন্যও একই ফি দিতে হবে। নিবন্ধন করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের খাবার ছাড়াও একটি করে টি-শার্ট দেওয়া হবে।
বাকচান্দা আব্দুস সামাদ একাডেমির নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। এ ছাড়া দিনব্যাপী এই আয়োজনে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ইভেন্ট রাখা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুস সাত্তার, নাজিরুল ইসলাম নাদিম ও নূর মামুন বলেন, “বাকচান্দা আব্দুস সামাদ একাডেমি বৃহত্তম ময়মনসিংহের মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৯ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমাদের এই বিদ্যালয় থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে বের হয়েছেন। যারা রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাজে দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু চাকরি নয়, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন। এ ছাড়া প্রবাসেও পাড়ি জমিয়েছেন অনেকে।”
আহ্বায়ক কমিটির এই তিন সদস্য আরও বলেন, “আমরা ছোট পরিসরে আমাদের স্কুলে অনেক অনুষ্ঠান করেছি। কিন্তু এবারের আয়োজন সম্পন্ন ভিন্ন। আগের প্রোগ্রামগুলোতে সাধারণত এক, দুই বা তিন ব্যাচ অথবা যারা কাছাকাছি থাকতেন তাদের নিয়েই করা হয়েছে। কিন্তু এত বড় করে করা হয়নি। আশা করছি, এবারের আয়োজনে এক থেকে দেড় হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেবেন।
দীর্ঘদিন পর হলেও এমন আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের এই বিদ্যাপীঠে যারা পড়াশোনা করেছেন, তাদের প্রত্যেক এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান করছি। এ জন্য সবাইকে নিজেদের ব্যাচ-প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে। সবাই অংশগ্রহণ করলে পুনর্মিলনীটি ‘মিলনমেলায়’ পরিণত হবে।”
আ. দৈ./ কাশেম