ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু এবং তার স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার অর্জিত সম্পদের সাথে বৈধ আয়ের অসঙ্গতিপূর্ণ ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০৭ টাকার সম্পদের মালিকানা রয়েছ্। এ ছাড়া তার ৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ১৯ টাকা সন্দেহজনক লেনদেননের তথ্য রয়েছে।
দুদকের দ্বিতীয় মামলায় হাসানুল ইনু ও তার স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি জানান,দুদককের মামলার এজাহার ইল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইনু পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০৭ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন।
এ ছাড়া তার ৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ১৯ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এই অর্থ মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
যে কারণে আসামির বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক তথ্যমন্ত্রী অসদুপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রী সম্পদশালী হয়েছেন। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারসহ পেনাল কোডের ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আ. দৈ./ কাশেম