মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়াকে টানা ৮দিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েও বাচাঁনো গেলো না। সর্বশেষ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) উন্নত চিকিৎসায় কাজ হলো না।
অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্মিলিত সামরিক ঢাকায় হাসপাতালের মারা যায় নিষ্পাপ শিশু আছিয়া। হাসপাতালের সামনে আছিয়ার মা গণমাধ্যমকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এই শিশুর কি অপরাধ ছিল। পাষান্ডরা বেড়াতে আসা শিশুকে এমন নির্যাতন করেছে, সে আর বাঁচতেই পারলো না।
মারা যাওয়া শিশুটির মা বলেছেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে যারা খারাপ কাজ করেছে, নির্য়াতন করেছে তাদের দ্রুত ফাঁসি চাই।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, সিএমএইচ থেকে মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি মাগুরা নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে মেয়েকে দাফন করা হবে। আর আমার মেয়ের সঙ্গে যারা খারাপ কাজ করেছে তারা যেনো বাঁচতে না পারে। অবশ্যই তাদের ফাঁসি দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ বোনের শ্বশুরবাড়ি মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০)-এর লালসার শিকার হয় শিশু আছিয়া। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত ৭ মার্চ রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তারপর তাকে নেওয়া হয় সিএমএইচে।
এ ঘটনায় গত ৮ মার্চ ওই শিশুর মা বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন- শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব হোসেন (১৮), বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া (৪২), অপ্রাপ্তবয়স্ক এক কিশোর (১৭) এবং তাদের মা জাবেদা বেগম (৪০)। আসামিদের সবাই বর্তমানে কারাগারে আছেন।
আ.দৈ/আরএস