যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে লোক নিয়োগ নীতিমালার শর্ত ভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা,জালিয়াতি ও দুর্নীতি আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট ধারায় এই মামলাটি দায়ের করেন। আজ দুপুরে রাজধানীতে দুদক প্রধান কার্যালয়ে মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুদকের মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর আহিদ, সাবেক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের প্রফেসর মোছা. ফেরদৌসী বেগম।
মামলায় উল্লেখ্এ করা হয়েছে, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হবার জন্য দুর্নীতি, প্রতারণা, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও নিয়োগ নীতিমালার শর্ত ভঙ্গ করে পছন্দের লোক নিয়ো দিয়েছেন। প্রার্থীর প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, নিয়োগ নীতিমালা ও ইউজিসির নির্দেশনা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘনপূর্ব আসামি ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদকে অবৈধভাবে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়োগ জালিয়াতির আশ্রায় নিয়ে যশোর বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারি তহবিল থেকে জুন/২০০৯ থেকে এপ্রিল/২০২৩ তারিখ পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ মোট ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৯ টাকা উত্তোলনের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আ. দৈ. /কাশেম