বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে নিরাপত্তাহীনতা চরমে পৌঁছেছে। দিনে-দুপুরে শহিদ মিনারের সামনে ঘটে গেল দুঃসাহসী ছিনতাইয়ের ঘটনা। ছিনতাইকারীরা এক নারীকে কৌশলে বিভ্রান্ত করে স্বর্ণের চেইন এবং নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ২১ ফেব্রুয়ারী দুপুরে বিএম কলেজের অডিটোরিয়ামের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নতুল্লাবাদ থেকে বাজার করে বাসায় ফেরার সময় এক নারী বিএম কলেজের শহিদ মিনারের আয়োজন দেখতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ সময় এক যুবক তাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে অডিটোরিয়ামের সামনে নিয়ে যায়। কথোপকথনের একপর্যায়ে সে ডায়াবেটিসের ওষুধের প্রসঙ্গ টেনে এক প্যাকেট চানাচুর দেয় এবং সুযোগ বুঝে তার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন খুলে নেয়। এরপর কানের দুল খুলতে গেলে ওই নারী বাধা দেন, কিন্তু ছিনতাইকারী নারীর ব্যাগে থাকা রমজান মাসের বাজারের ২,০০০ টাকা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর হতভাগ্য নারী চরম হতাশায় ভেঙে পড়েন। ওই নারী জানান, তিনি বরিশালে একাই থাকেন, এখানে তার পরিবারের কেউ নেই। এমন পরিস্থিতিতে তাকে অসহায়ভাবে কাঁদতে দেখে উপস্থিত অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং কলেজ প্রশাসনের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেন। শিক্ষার্থীরাও এই ঘটনায় কলেজ প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, কলেজ কতৃপক্ষ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তাই দিনের আলোতে এরকম দূর্ঘটনা ঘটেছে।
বিএম কলেজে মাদক সেবন ও অশ্লীল কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। কলেজ ক্যাম্পাস এখন যেন অপরাধীদের জন্য নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, অথচ প্রশাসন নির্বিকার।
দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত বিএম কলেজ আজ তার সুনাম হারাতে বসেছে। শিক্ষার্থীরা হতাশ, প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে এই ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে এবং অপরাধীদের দৌরাত্ম্য আরও বাড়বে।
আ. দৈ. / কাশেম/ রিফাত