বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ভিসি বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শিবির ট্যাগ দেওয়ার অভিযোগে বামপন্থী শিক্ষার্থী মোঃ ইমরান আল আমিন ওপর মারধরের অভিযোগ উঠেছে। । শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভিসি গেইটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ইমরান আল আমিন রসায়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ক্যাম্পাসে বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে পরিচিত।
জানা যায়, আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের অভিযোগে আন্দোলন করছিলেন। এসময় ভুক্তভোগী ইমরান আন্দোলনকারীদের শিবির ও বিশৃঙ্খলাকারী আখ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়ে আসে। এসময় তাদের মধ্যে শিবির ট্যাগ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এবং ভুক্তভোগী(ইমরান) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আবারো শিবির ট্যাগ দিতে থাকে। এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ উত্তপ্ত হয়ে পড়লে তাদের ভিতর হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
এই সম্পর্কিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে তাতে দেখা যায়, জাহিদুল ইসলাম (লোক প্রশাসন), রাকিবুল ইসলাম (কোস্টাল স্টাডিজ), এবং সাখাওয়াত (সোশ্যাল ওয়র্ক) এর সাথে ভুক্তভোগীর প্রথমে তর্কাতর্কি ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। যা পরে মারধরের পর্যায়ে চলে যায়।
এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী মোঃ ইমরান আল আমিন জানা, আমি মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছি। আমার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। আমি এই হামলার বিচার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বৈরাচার ভিসি এবং ফযাসিবাদের দোসর যে পুনরায় ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। অথচ ইমরান ফ্যাসিবদের পক্ষ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছে এবং স্বৈরাচারের দালালি করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শিবির ট্যাগ দিয়ে যাচ্ছে। যা নতুন করে ফ্যাসিজম কায়েমের নামান্তর। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করা হয়নি।
আ. দৈ. / কাশেম/ জীবন