ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের ফুকুরহাটি গ্রামে সাবেক সেনা সদস্য আলিমুজ্জামান এর ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল,বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ওই গ্রামের হাচান,হবিবর,বাদল ও মিজানুর মীর গংরা ওই সেনা সদস্যের বাড়িঘর দখল ও ভাংচুরে বাঁধা দেওয়ায় তার পরিবার হামলার শিকার হন বলে অভিযোগে প্রকাশ।
শনিবার ( ১৮ জানুয়ারি) বিকেলে সেনা সদস্য আলিমুজ্জামানের স্ত্রী আমেনা বেগম সাংবাদিকদের নিকট এ সব অভিযোগ করেন।এক পর্যায়ে তিনি তার এবং তার পরিবারের উপর হামলার বর্ননা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়,সাবেক সেনা সদস্য আলিমুজ্জামান চাকরি থাকা অবস্থায় একটা বাড়ি করার জন্য গত ২০২০ সালে পাকা রাস্তার পাশে সাড়ে ১০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন। এরপর সেখানে ২টি টিনের ঘর, বিদ্যুতের মিটার,রান্নাঘর ও ১টি পাকা টয়লেট নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, উপজেলার ২২ নং ফুকুরহাটি মৌজার বি,এস নং ৯৬৫, ৩২১,৩২২ নং দাগে ১০.৫০ শতাংশ জমি যথারীতি ভোগদখল করে ঘরদরজা নির্মান ও গাছপালা রোপন করেন সেনাসদস্য আলীমুজ্জামানের পরিবার ।কিন্ত সম্প্রতি ওই গ্রামের হাসান,হবিবর,বাদল ও মিজানুর মীর গংরা ওই জায়গা দখল করে বাড়িঘর ভাংচুর করে টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেছে।এ সময় তারা ২টি ঘর,বিদ্যুতের মিটার,টয়লেট ভাংচুর করে।পরে তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মামলা দায়েরের পর পুলিশ গিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারী করে। কিন্তু আসামিরা ১৪৪ ধারা অপেক্ষা করে জায়গা জমি দখল করে ভাংচুর করে সব কিছু নিয়ে গেছে৷ বাঁধা দিতে গেলে তাদের উপর এবং প্রতিবেশী একটি পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় পরিবার দুইটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য কেরামত আলী জানান,আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে মারপিট করে জোর পুর্বক তাদের গাছ কাটিয়ে নিয়ে যায়।এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।মামলা নম্বর-২০; তারিখ ১৩/০১/২৫ ইং। উক্ত মামলায় আমি সাক্ষ্য দিয়েছি। যাহার কারণে আসামিরা হাচান,মিজানুর ও হাবিবুর আমাকেও মারধর করে। তারা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আলিমুজ্জামানের বাড়িঘর দখল ও ভাংচুর করেছে।
মামলার বাদি সাবেক সেনা সদস্য আলিমুজ্জামানের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন,আমার স্বামীর নামে ক্রয়কৃত সাড়ে দশ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে ওই জমিতে নানা ধরনের ফলজ,বনজ,বৃক্ষ রোপণ করি।আসামিরা জোরপূর্বক আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে আমার জায়গা দখল করে টিনের প্রাচীর দিয়ে চারদিকে আবদ্ধ করে রেখেছে।এ ঘটনায় আমি ফরিদপুর আদালতে ১৪৪ ধারা একটি মামলা করি। যার নম্বর-২৫/২০২৪ আদালত আসামীদের উক্ত জায়গা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পুলিশ আসামী হাসান গংদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারী করেছে। তারপরও আসামিরা সন্ত্রাসীও জবরদখলকারী হওয়ায় তারা ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে জায়গা দখল করে টিনের বেড়া দিয়েছে।আমি বাঁধা দিলে আমাকে মারধর সহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।এঘটনা আমি ভাঙ্গা থানায় মামলা করেছি।তারপর ও তারা স্থানীয় ক্ষমতাশালী লোক হওয়ায় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বর্তমানে আমরা মানবতার জীবন যাপন করছি। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।
আ. দৈ. /কাশেম/ রানা