পটুয়াখালীর বাউফলে থু থু ফালানোকে কেন্দ্র করে ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে দুইজনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে উপজেলার কনকদিয়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। আহতদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করা হয়েছে। ওই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে বাউফল থানা পুলিশ। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মাসুদ হাওলাদার ঢাকায় একটি বেসরকারী কোম্পানিতে চাকুরী করেন। পূর্ব থেকে একই বাড়ীর জলিল হাওলাদার গংদের সাথে জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো।
সম্প্রতি মাসুদ মাসুদ হাওলাদার বাড়ীতে আসেন। সোমবার সকালে তিনি ঘর থেকে বেড় হয়ে কৃষিজমির উদ্দেশ্যে যেতে থাকলে পথিমধ্যে তার গায়ে জলিল হাওলাদারের স্ত্রী রুনু বেগম থুথু ফেলেন। ওই সময় মাসুদ হাওলাদারের সাথে বাক বিতন্ড হয় এবং ওখানে ঘটনার ইতি ঘটে। সন্ধ্যা গড়িয়ে এলে একই ইউপির মঞ্জু হাওলাদারের ছেলে মনিমুল মিরাজের নেতৃত্বে আনোয়ার হাওলাদার, জুয়েল হাওলাদার, আপেল মাহমুদ মুন্না জাকারিয়া সহ ১০টি হোন্ডা ২০/২৫ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ দল বাড়ীতে প্রবেশ করে মাসুদ হাওলাদারকে ঘিরে ফেলে এবং অতর্কিত তাকে দশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
ওই সময় স্ত্রী রত্না বেগম স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তী করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎস্যক মিরাজুল ইসলাম জানান, আহতদের সকল শরীর পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে তবে আশংকা মুক্ত। অন্যের বসত বাড়ীতে গিয়ে হামলার বিষয়ে মনিমুল মিরাজ জানান, আমি সকালে ঘটে যাওয়া ঘটনা জানতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার উপস্থিতেই তারা বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। আমি ঘটনার সাথে জড়িত ছিলাম না। বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জড়িত সকলের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আ. দৈ. /কাশেম/নাজিম