পটুয়াখালীর বাউফলের বাজেমহল মাধ্যমিক বিদ্যালযের দূর্নীতিবাজ, পলাতক প্রধান শিক্ষক মোস. পারভীন বেগমের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের বিরুদ্ধে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিব শংকর দাস। লিখিত বক্তব্যে শিব শংকর বলেন, বিদ্যারয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক পারভীন বেগম ৫ আগষ্টের পন পালায়ন করেন। সে সুবাদে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী রেজুলেশনের মাধ্যমে তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দাযিত্ব বুঝিয়ে দেন। কিন্তু সাবেক প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের চাবি ও অন্যান্য কাগজপত্র না বুঝিয়ে দিয়ে তিনি বিদ্যালযের যাবতীয় কাগজপত্র তার রুমে অঅটকে রেখে তালাবদ্ধ রেখে চাবি নিয়ে অত্বগোপনে চলে যান। একারণে বিদ্যালটি বেশ সমস্যার সৃষ্টি হয়।
পরে সভাপতি সাবেক প্রধান শিক্ষককে বিদ্যারয়ের কোন দাপ্তরিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করে ভিন্ন খাতায় সই-স্বাক্ষর করে প্রধান শিক্ষকের রুমে না গিয়ে সাধারণ শিক্ষকের সাথে আলাদা কক্ষে বসতে নির্দেশ দেন। গত ২৯তারিখ সাবেক প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেন। এসময় তাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকতে না দিলে সে চিৎকার চেচা-মেচি করে বিদ্যালয় থেকে বেড়িয়ে যান। এর পর তিনি বাউফল থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ ৪শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। সাবেক প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার বিদ্যালয়ের নানা ভাবে প্রপাগান্ড ছরিয়ে বিদ্যালরে ভাবমূর্তী বিনষ্ট করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক পারভিন বেগম বলেন, আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমার কাছে রেকর্ড আছে। আমি এখনও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আমি প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাই কিন্তু আমাকে ঢুকতে দেয়া হয় না। উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষদের কাউকে বাধা দেয়া হয় না শুধু আপনাকে কেন বাধা দেয়া হয়? এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।
আ. দৈ. /কাশেম/ নাজিম