সাভারের আশুলিয়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মা-মেয়েসহ চারজনকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল নশনিবার রাতে আশুলিয়ার বাইপাইল সোনিয়া মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আশুলিয়ার মধ্য গাজিরচট সোনিয়া মার্কেট এলাকার মৃত হাজী শাহজাহানের ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন মিয়া (৫০)ও তার ছেলে মো. ওমর ফারুক শাহিন শাহ্ (২১)।
একই মামলায় পলাতক রয়েছেন ওই এলাকার মৃত রশিদ মোল্লার ছেলে মো. কাদের মোল্লা (৪৮)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচট এলাকার মো. আব্দুল হালিমের মেয়ে ভুক্তভোগী লিপি আক্তারের সঙ্গে শাহাদাত হোসেন মিয়ার জমি, দোকানপাট ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
গত ১২ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে লিপি আক্তার নিজ মালিকানাধীন সোনিয়া মার্কেটের সংস্কারকাজ করছিলেন। এ সময় ভাসুর শাহাদাত, ভাসুরের ছেলে ওমর ফারুক শাহিন শাহ্ ও ননাসের স্বামী কাদের মোল্লা তাকে গালাগাল করতে থাকেন।
প্রতিবাদ করলে আসামিরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। এ সময় তার গলায় থাকা সোনার চেইন ও কানে থাকা দুল ছিনিয়ে নেন তারা।
এক পর্যায়ে মাকে বাঁচাতে তিন মেয়ে এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়। পরে আহত অবস্থায় মা ও তিন মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শাহাদাত হোসেন মিয়া, ওমর ফারুক শাহিন শাহ্ ও কাদের মোল্লা অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক। তাদের অত্যাচারে লিপি আক্তারের পরিবারসহ এলাকার বহু মানুষ অতিষ্ঠ।
তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনাসহ একাধিক জিডি ও অভিযোগ রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে বলেও জানান তারা।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ভুক্তভোগী মোসা. লিপি আক্তার বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ (ক) ধারায় একটি মামলা করেছেন।
সেই মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আ.দৈ/ সাম্য