বাংলাদেশের রাজনীতি, জাতীয় নির্বাচন এবং নির্বাচনকালীন সরকার গঠন ও দেশ পরিচালনার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় গিয়ে ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ/ বাতিল করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধন করেছে।এবার অন্তর্বতীকালীন দায়িত্ব গ্রহণের পর আগের সরকারের বাতিল করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যাললেঞ্জ করে দায়ের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কবে রায় ঘোষণা করা হবে, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ওই দিন নির্ধারণ করা হবে।
আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত শুনানি শেষ হয়। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও শাহরিয়ার কবির।
২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়; সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।
এই সংশোধনী বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্টজন। গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে।
পরে এই রুল সমর্থন করে সহায়তাকারী (ইন্টারভেনার) হিসেবে যুক্ত হন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণফোরাম প্রমুখ। এছাড়া মো. মোফাজ্জল হোসেন নামে এক মুক্তিযোদ্ধাও রিট করেন।
আ. দৈ. /কাশেম