চকরিয়ায় বন রক্ষায় সর্বোচ্চ তৎপর এযাবৎ কালে যত বন বিভাগ ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জে কর্মকর্তা আসছে তাদের মধ্যে অন্যতম বর্তমান রেঞ্জার, মত প্রকাশ করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি আরো বলেন যদি বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারী চান বনে কোন অবৈধ স্থাপনা থাকবে না, বালু উত্তোলন হবে না, সন্ত্রাসীরা বনের গাছ কেটে নিবে না এসব সম্ভব।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বনের ভিতর সকল স্থাপনার সাথে জড়িত বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তা ও স্থানীয় দালাল চক্র। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে বনবিভাগের সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসময় বনবিভাগের জায়গা দখল করে তৈরি করা পাঁচটি অবৈধ ঝুপড়িঘর উচ্ছেদ ও তামাক ক্ষেত গুঁড়িয়ে দিয়ে এক একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের ফাঁসিয়াখালী বনবিটের উচিতারবিল মৌজায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৫টি ঝুপড়ি ঘর ও ১ একর তামাক ক্ষেত গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
অভিযানকালে রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মেহেরাজ উদ্দীন, বনবিট কর্মকর্তা মো. খসরুল আমিন, ফরেস্ট গার্ড, সিজিপি’র সদস্য ও ভিলেজারগণ অংশগ্রহণ করেন।
ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দীন বলেন, বন, বন্যপ্রাণী ও বনজ সম্পদ রক্ষায় নিয়মিত এই অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি আরো বলেন বনভূমি ধ্বংসের মুখ থেকে রক্ষা করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। যতদিন এখানে কর্মরত আছি ততদিন এ রেঞ্জ কে মডেল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
আ. দৈ. /কাশেম/বিজন