ড্যাপের কারনে রাজস্ব আয় কমে যাওয়া, উচ্চতা কমায় কৃষি জমির অপচয়, আবাসনের ঘাটতি ভয়ংকর আকার, বস্তি ও অনিরাপদ আবাসন আরও বৃদ্ধির বিষয়ে তুলা প্রশ্নগুলোর সরাসরি জবাব দেননি পরিকল্পনাবিদরা।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পরিবেশকর্মী, আইনজীবী, শিক্ষক, পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, প্রকৌশলী, অর্থনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিদের উদ্যোগে আয়োজিত 'কার স্বার্থে আবারও পরিবর্তন ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন বক্তব্য উঠে আসে। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য দেন পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মোহাম্মদ খান ও পরিবেশ কর্মী আমিনুর রাজিব।
সংবাদ সম্মেলেন রাজউক এবং আবাসন ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয় তাদের দাবি দাওয়াকে উপেক্ষা করে আবাসন ব্যবসায়ীদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সরকার ড্যাপের সংশোধন এর মাধ্যমে ফার ও জনঘনত্ব বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের ও হতাশার।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, উন্নয়ন প্রাবল্য ও জনঘনত্ব ড্যাপ পরিবর্তন এর প্রস্তাবনায় রাজউক এলাকার প্রায় সব জায়গাতেই ভবনের উচ্চতা বাড়ছে। সংশোধিত ড্যাপ ও খসড়া ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা-২০২৫' অনুযায়ী, অনেক স্থানে ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর ফার) বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে, অনেক এলাকায় দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে। দ্বিগুরের বেশি যেখানে বাড়ানো হয়েছে, সেসব এলাকায় আগে যেখানে সর্বোচ্চ পাঁচতলা ভবন নির্মাণের সুযোগ ছিল, এখন সেখানে ১০ থেকে ১১ তলা পর্যন্ত ভবন তোলা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনৈ ব্যবসায়িক স্বার্থগোষ্ঠীর অনৈতিক চাহিদা পূরণ করতে ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালার ত্রুটিপূর্ণ পরিবর্তন প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। দাবি না মানলে দ্রুত সময়ে বড় আকারে কনভেনশন করার কথা বলা হয়। পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়নে আবাসন ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না এমন দাবি জানানো হয়। তবে পরিকল্পনাবিদদের মতামতকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানান আয়োজকরা।