বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিকল্পিতভাবে রাজধানীতে পিলখানায় কথিত বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশপ্রেমিক ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ওই হত্যাকান্ডে ঘটনা উদঘাটনে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা হয় এবং কমিশনের কার্যক্রম চলছে।
তবে পুনঃতদন্তে গঠন করা স্বাধীন কমিশনের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো করা হয়েছে। ফলে নতুন করে আরও দুই মাস সময় বাড়ানোর আদেশ ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমানকে সভাপতি করে স্বাধীন কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রাথমিকভাবে কমিশনকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়। পরে সেই সময় দুই দফায় আরও তিন মাস করে বাড়ানো হয়। সেই সময় শেষ হয়েছে গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত ঘটনার প্রকৃতি ও স্বরূপ উদঘাটন করতে বলা হয়েছে কমিশনকে।
এছাড়া ঘটনাকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধ সংঘটনকারী, সহায়তাকারী, ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার আলামত ধ্বংসকারী, ইন্ধনদাতা এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয়সহ দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট অপরাধী ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, বিভাগ, সংগঠন ইত্যাদি চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্ত কমিশনকে।
আ. দৈ./কাশেম