পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম। এই পদ্ধতি চালুর জন্য প্রয়োজনে গণভোট আয়োজন করতে বলেছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর ফটকে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছলপূর্ব এক সমাবেশে এ কথা বলেন ফয়জুল করিম।
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ‘যদি ঐকমত্য কমিশনে আপনারা সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন, তাহলে সহজ কথা, আপনারা গণভোট দেন। রেফারেন্ডাম দেন। যদি জনগণ পিআর সিস্টেম নির্বাচনের পক্ষে থাকে, তাহলে আমরা অবশ্যই দাবি করতে পারি। আর যদি জনগণ পিআর সিস্টেম নির্বাচন না চায়, তাহলে আমরা দাবি করব না।’
ফয়জুল করিম বলেন, ‘সরকারকে বলব, অবশ্যই আপনারা রেফারেন্ডাম দেন, গণভোট দেন। যদি অন্য কারও ইঙ্গিতে আপনারা পিআর সিস্টেম নির্বাচন দিতে গড়িমসি করেন, তাহলে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আপনাদের বাধ্য করবে পিআর সিস্টেমে নির্বাচন দেওয়ার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। এটা সবার দাবি, শুধু আমাদের দাবি নয়, জনগণেরও দাবি। কাজেই এটা দিতে অসুবিধা কোথায়? কাদের ইঙ্গিতে আপনারা দিচ্ছেন না? আমি মনে করি, ভারত চায় না জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে। আপনারা কি ভারতের আশা এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন?’
ফয়জুল করিম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কেন বসেছে আমরা সবাই জানি, সংস্কার, বিচার, নির্বাচন। আপনি সংস্কার না করে কীভাবে নির্বাচন দেন? দৃশ্যমান বিচার না করে আপনি কীভাবে নির্বাচন দেন? যদি শুধু আপনি নির্বাচনের জন্য ক্ষমতায় বসেন, তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যদি আপনি তিনটি বিষয়কে সামনে নিয়ে ক্ষমতায় বসেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে সংস্কার করতে হবে, দৃশ্যমান বিচার দেখাতে হবে, এরপর নির্বাচনে যেতে হবে। যদি এইগুলি আপনি না করেন, শুধু নির্বাচন নির্বাচন করেন, তাহলে আমি মনে করবো আপনিও কোনো এক দলের দিকে ঝুঁকে গেছেন। আপনি নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলবেন।’
তিনি বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই দাবি করছে পিআর সিস্টেম নির্বাচন। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ স্পষ্ট ঘোষণা করেছে যে, পিআর সিস্টেমে নির্বাচন দিতে হবে। পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের ফায়দা কী, উপকারিতাটা কী, এ বিষয়ে এরইমধ্যে আমার মনে হয় জনগণ জেনে-বুঝে গিয়েছে। এমনকি বর্তমান জরিপে দেখা যায়, ৮০ শতাংশ জনগণ পিআরের পক্ষে।’