কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার তদন্ত ও বিচার অতিদ্রুত নিশ্চিত করা এবং ২৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামি ছাত্রশিবির ইবি, শাখা। আজর সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে তাদের "প্রশাসনের প্রহসন, মানি না মানবো না; বিচার বিচার বিচার চাই, সাজিদ হত্যার বিচার চাই; আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে; তোমার আমার অধিকার, নিরাপদ ক্যাম্পাস" ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রশাসন এপর্যন্ত সাজিদ হত্যার বিচারের অনেক আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু দুই মাস হয়েগেলেও আমারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। এ প্রশাসন মাইক হাতে পেলে সব দাবি দাওয়া পূরণের আশ্বাস দেয়। কিন্তু কাজের সময় কিছুই করতে দেখছি না।
শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন, সাজিদ হত্যার তদন্তভার কোনো সংস্থার হাতে হস্তান্তর করা হয়নি। মামলাটি এখনো হেডকোয়ার্টারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কোনো শক্তির কারণে এই মামলাটি এখনো তদন্তকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়নি এটা আমারা জানতে চাই। ছাত্র সমাজ জানতে চাই কেন তারা এখনো কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছে না। যুগোপযোগী একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ দফা সম্বলিত ১১০ প্রস্তাবনা দিয়ছিলাম। এর কিছু কিছু প্রস্তাবনা তারা গ্রহন করে বাস্তবায়ন করলেও সিংহভাগ শিক্ষার্থীবান্ধব প্রস্তাবনের এখনো বাস্তবায়ন লক্ষ করছিনা।
তিনি বলেন, জুলাই শহিদদের রক্তের উপর দিয়ে যে প্রশাসন এসেছে তাদের কাছে প্রত্যাশা ছিল শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করবে এবং শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়বে কিন্তু আমরা পেয়েছি সাজিদের লাশ। সাজিদ হত্যার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে। আগামী ২ দিনের মধ্যে তদন্ত সংস্থার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে এবং বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাধীন কাজে নিযুক্ত শ্রমিকরা বহিরাগতদের আক্রমণের শিকার হয়েছে। প্রশাসন সেখানে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আগামীতে আমরা এমন আক্রমণে শিকার হবো না তার কোন নিশ্চয়তা নাই। প্রশাসনকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আমাদের অন্যান্য দাবিসমূহ পূরণ করতে হবে যার ফলাফল হিসেবে শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়া সম্ভব হবে। অন্যথায় প্রশাসনিক পদে আপনাদের থাকার কোন প্রয়োজন নাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনার মধ্যে ছিল ইকসু গঠন। বর্তমানে কমিটি গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বাস্তব পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি। এখন পর্যন্ত সামাজিক সংগঠন বা কোনো শিক্ষার্থীকে নিয়ে একবারও বসা হয়নি। এরকম টালবাহানা করলে প্রশাসন এর পদ থেকে বিতাড়িত করতে বাধ্য হবো।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর ২৪ দফা দাবি উপস্থাপন করে ইবি শাখা ছাত্রশিবির। এতে মোট ১১০ টি প্রস্তাবনা উল্লেখ করে সংগঠনটি।
আ. দৈ. /কাশেম