দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পর ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে এবং যারা দেশকে বারবার অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে, সেই চক্রান্তকারীরা গণতন্ত্রকে আবার হত্যার চক্রান্ত করছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনগণের প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক যাত্রা গতিশীল রাখতে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের।
আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এই আহবান জানান। দীর্ঘ আট বছরের অপেক্ষা শেষে নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির এই দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ভিন্ন দলের ভিন্ন মত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে জনগণই বাছাই করবে আগামীতে দেশকে কে নেতৃত্ব দেবে। এসময়, গণতন্ত্রের রেললাইনে না যাওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
বিকেল চারটার দিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে তারেক রহমান বলেন, ষড়যন্ত্র শেষ হয়ে যায়নি। তাই আগামী দিনে বিএনপির লক্ষ কী সেটি স্পষ্ট করেন দলের এই হাইকমান্ড। পাশাপাশি তৃণমূলকে সংগঠিত করার পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবানও জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ইতিহাসের চরম সন্ধিক্ষণে এই সম্মেলন। জনগণকে বাইরে রেখে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হবে, যেটি কাঙ্খিত নয়। তার দল মনে করে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। যারা দেশকে বারবার অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে, সেই চক্রান্তকারীরা গণতন্ত্রকে হত্যার চক্রান্ত করছে বলে সকলকে সতর্ক করে দেন তারেক রহমান।
সমাপনী বক্তব্যে কোনো অপশক্তি গণতন্ত্রের পথে যেন বাধা না হয় সেজন্য সবাইকে একজোট থাকার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময় ঘোষণায় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে যাওয়ার পথে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে দেশের মানুষের উপকার হবে না।