‘দুর্নীতির করাল গ্রাসে কৃষি ব্যাংক’ শিরোনামে গত ২ সেপ্টেম্বর আজকের দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা কে.এম.হাবিব-উন-নবীর এক স্বাক্ষতির চিঠিতে। তবে প্রতিবাদলিপিতে তিনি এমন কিছু তথ্য উল্লেখ করেছেন, যা আজকের দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের কোথাও উল্লেখ নেই।
প্রতিবাদলিপিতে যা উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের বদলি, পদোন্নতি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি ‘আজকের দৈনিক’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এর প্রতিনিধিসহ নির্ধারিত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে এসএসআর অনুযায়ী বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য, আজকের দৈনিকে বদলি, পদোন্নতি, টেন্ডারসহ সব কার্যক্রমকে দুর্নীতির চক্রে পরিণত করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যা কোনো প্রকার মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। কিভাবে বা কারা এই চক্রের সাথে জড়িত। তার প্রমাণ সহ সিন্ডিকেটের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কিভাবে বদলি বাণিজ্যে অর্থ নেয়া হয়ে থাকে, তা প্রমাণ সাপেক্ষে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগীদের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া বিগত সরকারের আমলের দুর্নীতির কারণে চাকরি হারানো ব্যক্তিদের অর্থের বিনিময়ে ব্যাংকে ফেরত আনা হচ্ছে, যা সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ন প্রমাণসহ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। কিভাবে অর্থ নেয়া হচ্ছে, তারও ব্যাখ্যা দেয়া আছে।
এছাড়া ভুক্তভোগীদের বক্তব্যসহ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছ। তাই কোনো প্রকার মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া কৃষি ব্যাংকের অননুমোদিত সিবিএ’র কমিটির ফয়েজ ও মিরাজ নিজেদেরকে যথাক্রমে সভাপতি ও সেক্রেটারি দাবি করছে যা সত্যিকার অর্থেই ভুয়া সংবাদে তা প্রকাশ করা হয়েছে। যা শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এখনো সভাপতি এবং সেক্রেটারি হিসেবেই নাম দেখাচ্ছে প্রয়াত আব্দুল হালিম ও নাসিম হোসেন।