বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহনি ঘটনা, ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী সুনিদিষ্ট অপরাধের মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে একমাত্র রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর তাকে জেরা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর)।
আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে তার জেরা হওয়ার কথা ছিল। তবে শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন সময় চাওয়ায় আজ আর হচ্ছে না।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি বলেন, স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীর সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শেখ হাসিনার মামলার জেরা হবে না। আগামীকাল বৃহস্পতিবার জেরা হবে।
এর আগে, ২ সেপ্টেম্বর এ মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দেন সাবেক আইজিপি মামুন। তিনি আওয়ামী লীগ শাসনামলে পুলিশে রাজনৈতিক প্রভাব-গ্রুপিংয়ের কথা বর্ণনা দেন। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়েছে জানিয়ে নিজের দায় স্বীকার করে শহীদ-আহত পরিবারসহ দেশবাসী ও ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
মামানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার এ মামলায় চৌধুরী মামুনসহ এখন পর্যন্ত ৩৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। জবানবন্দিতে সাক্ষীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালসহ জুলাই-আগস্টে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন।
এদিকে, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পঞ্চম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল আজ। এরই মধ্যে কনস্টেবল সুজনসহ চার পুলিশ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করেছে পুলিশ। তবে এ মামলার সাক্ষী উপস্থাপনে সময় চেয়েছে প্রসিকিউশন। ফলে আজ আর সাক্ষ্যগ্রহণ হচ্ছে না।
আ. দৈ./কাশেম