‘রাজাকারদের ফাঁসি দিছি, আন্দোলনকারীদেরও ছাড়ব না। রাজাকারের কী অবস্থা হয়েছে দেখিস নাই, সবগুলোকে ফাঁসি দিছি, এবার তোদেরও ছাড়ব না।’ এই বার্তা দিয়েই হুমকি দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর চানখাঁরপুল গণহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সূচনা বক্তব্যে এমনটাই তুলে ধরেছেন মামলার প্রধান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (চিফ প্রোসিকিউটর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, গত বছরের ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন শেখ হাসিনা। সেই কথোপকথনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, “রাজাকারদের কী অবস্থা হয়েছে দেখিস নাই? সবগুলোকে ফাঁসি দিছি। এবার তোদেরও ছাড়ব না।”
ফোনালাপের আরও একটি অংশে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, “ইংল্যান্ডে ছাত্ররাজনীতির কারণে কয়েকজনকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল। ওই রকম অ্যাকশন নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রোসিকিউশন দাবি করছে, চানখাঁরপুলে আন্দোলনকারী ছয় শিক্ষার্থীকে হত্যার পেছনে ছিল পরিকল্পিত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত দমননীতি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের হওয়া এই মামলায় সোমবার ছিল সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন। সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চলছে বিচার কার্যক্রম।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর তিন সদস্যবিশিষ্ট বেঞ্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিন ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল।